এক সেকেন্ডে পুরো ইন্টারনেটের সব ডেটা পরিবহনের চিপ বানালেন বিজ্ঞানীরা
এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা স্থানান্তর করা মাঝেমধ্যে বেশ ঝক্কির কাজ হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে গোদের ওপর বিষফোড়া হিসেবে যুক্ত হয় কচ্ছপ গতিতে ডেটার স্থানান্তর।
কিন্তু বিজ্ঞানীরা এবার এত দ্রুত ডেটা স্থানান্তর করেছেন যে তার পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠে যাবে। পুরো ইন্টারনেটের সমপরিমাণ ট্র্যাফিককে সেকেন্ডের মধ্যে স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। খবর নিউ অ্যাটলাস-এর।
প্রতি সেকেন্ডে ১.৮৪ পেটাবিট ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটি একক সেকেন্ডে পৃথিবীর মোট ইন্টারনেট ট্র্যাফিকের প্রায় দ্বিগুণ।
ন্যাচার ফোটোনিক্স নামক একটি জার্নালে এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
মানুষ ঘরে বা কর্মক্ষত্রে সচরাচর কয়েকশ মেগাবিট থেকে ১০ গিগাবিট ক্ষমতার ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে। আর আর এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ গিগাবিটে হয় এক পেটাবিট। পেটাবিটের দ্রুতি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা'র ব্যবহৃত নেটওয়ার্কের চেয়েও প্রায় ২০ গুণ বেশি।
কেবল একটি আলোক উৎস ও একটি অপটিক্যাল চিপ ব্যবহার করে ডেটা স্থানান্তরের এ রেকর্ড পরিমাণ দ্রুতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা ফ্রিকোয়েন্সি কম্ব নামক চিপে অবলাল লেজার ফেলেন। ওই চিপ আলোকে কয়েকশ ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গে ভাগ করে ফেলে। এরপর ডেটাকে সে আলোতে এনকোড করে পরে আবার একটি বিমে পরিণত করে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে তা পরিবহন করা হয়।
টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অভ ডেনমার্ক এবং সুইডেনের শ্যালমার্স ইউনিভার্সিটি অভ টেকনোলজি'র বিজ্ঞানীরা এভাবে ৩৭টি ভিন্ন ভিন্ন কোরসমৃদ্ধ ৭.৯ কিলোমিটার লম্বা অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে এ পরীক্ষা চালিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বৈশ্বিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের মোট পরিমাণ সেকেন্ডে এক পেটাবিটেরও কম।
এর আগে সবচেয়ে দ্রুত ডেটা স্থানান্তরের রেকর্ড ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট।
তবে বর্তমান গবেষকেরা দাবি করেছেন, কম্পিউটেশনাল মডেল ব্যবহার করে এ ব্যবস্থার মাধ্যমে সেকেন্ডে ১০০ পেটাবিট গতিতে ডেটা স্থানান্তর করাও সম্ভব হবে।