দেশব্যাপী শুরু হলো কর সেবা মাস
আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ করদাতাদের সেবা দিতে আয়কর মেলার বদলে দেশব্যাপী আজ থেকে শুরু হয়েছে কর সেবা মাস।
দেশের ৩১টি কর জোনের সাড়ে ছয়শ ট্যাক্স সার্কেল অফিসে করদাতারা মাসব্যাপী কর রিটার্ন জমার ক্ষেত্রে এ সেবা পাবেন। একইসঙ্গে, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন ) নেওয়াসহ অন্যান্য সেবাও পাওয়া যাবে।
আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে করসেবা মাস উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'আমরা ট্যাক্স অফিসে আয়কর মেলার পরিবেশ তৈরি করব। করদতারা এখন স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে পারছেন'।
এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান আরো জানান, ১ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব, সচিবালয়ে বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর অফিসের করদাতাদের সেবা দেওয়া হবে।
শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে ২০ নভেম্বর থেকে চার দিন এবং ঢাকা সেনানিবাসে ৮ ও ৯ নভেম্বর আলাদা বুথ স্থাপন করে করসেবা দেওয়া হবে। এছাড়া, মাসব্যাপী আয়কর বিষয়ে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর কথাও জানানো হয় এনবিআর- এর পক্ষ থেকে।
২০১০ সাল থেকে করমেলার মাধ্যমে করদাতাদের কাছ থেকে রিটার্ন জমা নেওয়া শুরু হয়। তবে ২০২০ সালের কোভিড পরিস্থিতিতে তা বাতিল করা হয়। এ পর তা আর চালু করা হয়নি।
প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর কর দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে এবং ওই দিনই কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর কেউ রিটার্ন জমা দিতে হলে তাকে প্রতি মাসের জন্য মোট করের ২ শতাংশ হারে সুদ গুনতে হবে।
চলতি অর্থবছর এনবিআর বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আয়কর রিটার্ন জমার পরিমাণ অনেক বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
চলতি বছর থেকে সব টিআইএন-ধারীর ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া ৩৮ ধরনের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে; নইলে যে প্রতিষ্ঠান প্রমাণপত্র দেখার দায়িত্বে থাকবে- তাদের ওপর জরিমানা বর্তাবে।
বর্তমানে দেশে ই-টিআইএন-ধারীর সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ। এরমধ্যে গত বছর রিটার্ন জমা দিয়েছে প্রায় ২৫ লাখ। চলতি বছর এই সংখ্যা বেড়ে ৪০ লাখ ছাড়াতে পারে বলে মনে করছে কর বিভাগ।