গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ই-অরেঞ্জের সোহেল-সোনিয়া: বিএফআইইউ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার ভাই বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানার কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
গত এপ্রিল মাসে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিএফআইইউ-কে।
আজ বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩ টি ব্যাংক হিসাবে ২২২১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন নামে ৫০/৬০ শতাংশ মুনাফার লোভ দেখিয়ে গ্রাহকদের প্রতারণা করা হতো।
তবে গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে কিনা, সেটি নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি বিএফআইইউ।
সোনিয়া, তার ভাই সোহেল রানা, স্বামী মাসুকুর রহমান, চাচা জায়েদুল গ্রাহকদের ৩০ কোটির বেশি অর্থ নিজেদের নামে উত্তোলন করেন।
"ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ বিভিন্ন মার্চেন্টকে পরিশোধ করা হলেও বিভিন্ন ব্যক্তির নামে পাশাপাশি প্রায় ২৬ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, তার প্রকৃত সুবিধা কে ভোগ করেছেন সেটি জানা যায় নি", বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।
গ্রাহকদের পণ্য না দিয়ে, এভাবে অর্থ নিজেরা উত্তোলন করা প্রতারণার শামিল বলে উল্লেখ করা হয় বিএফআইইউর দাখিলকৃত প্রতিবেদনে।
সিআইডির দায়ের করা মামলার নথি বলছে, গত বছর সোনিয়া, তার স্বামী মাসুকুর এবং সোহেলের কথিত স্ত্রী নাজনীন নাহার বিথী, কোম্পানির আরেক মালিক মিলে গ্রাহকদের পণ্য না দিয়ে প্রায় ১,১০০ কোটি টাকা অগ্রিম অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।