হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত প্রধানমন্ত্রী শরিফ, দাবি ইমরানের
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) লংমার্চে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের বর্তমান প্রধনমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শুক্রবার (৪ নভেম্বর) হাসপাতালে নিজের প্রথম ভাষণে এ অভিযোগ তোলেন তিনি। খবর আল জাজিরার।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং একজন সিনিয়র সেনা কমান্ডার তাকে হত্যাচেষ্টার হামলায় জড়িত।
বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনায় দুইজন বন্দুকধারী সরাসরি জড়িত ছিল উল্লেখ করে ইমরান বলেন, "এই তিনজন (প্রধানমন্ত্রী শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লাহ ও একজন সিনিয়র সেনা কমান্ডার) আমাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
তবে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে এবং হামলার দায় চাপিয়েছে 'ধর্মীয় চরমপন্থীদের' ওপর।
এদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখাও ইমরানের অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন ও কাণ্ডজ্ঞানহীন' বলে অভিহিত করেছে।
সামরিক বাহিনীর ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, "পাকিস্তান সরকারকে বিষয়টি তদন্ত করতে এবং প্রশাসন ও এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ ছাড়াই মানহানি ও মিথ্যা অভিযোগে যারা দায়ী করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লাহও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, জোট সরকার স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শরিফও হামলার নিন্দা জানিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ইমরান খানের একটি জনসভায় তার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বন্দুকধারীর গুলিতে ইমরান খানের দল পিটিআই'র কমপক্ষে একজন কর্মী নিহত এবং বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা আহত হয়।
দলীয় সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদে পিটিআই'র হাকিক-ই-আজাদি লংমার্চ কর্মসূচির সপ্তম দিনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ইমরান খানের পায়ে ৩ থেকে ৪টি গুলি লাগে।