সুদহারের সীমা না তুলে ব্যাংকের এফিসিয়েন্সি বাড়ান: এফবিসিসিআই সভাপতি
ব্যাংক ঋণের সুদহারে ৯ শতাংশের সীমা তুলে দিলে শিল্পখাত বড় ধরনের ভয়াবহ সংকটে পড়বে উল্লেখ করে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দীন বলেছেন, এমনিতেই গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের কারণে শিল্পখাত সংকটে রয়েছে। এ অবস্থায় সুদের হার বাড়লে শিল্প প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরামের আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "এখন আমানতের সুদহার ৬ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।"
ব্যাংকগুলো আমানতের ক্ষেত্রে ৭-৭.৫ শতাংশ ইন্টারেস্ট দিচ্ছে। কিন্তু ঋণের সুদহার ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেওয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জসীম উদ্দিন বলেন, "ব্যাংকগুলোর ইফিসিয়েন্সি বাড়ানোর মাধ্যমে কস্ট অব ফান্ড কমিয়ে আনতে পারলে ঋণের সুদহার বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো যেভাবে ২-৩ কোটি টাকা খরচ করে জাঁকজমকপূর্ণ শাখা করে, চীনসহ অন্য কোন দেশেই এ ধরনের শাখা দেখা যায় না। তাই সুদহার না বাড়িয়ে ব্যাংকগুলোর উচিত, নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে খরচ কমানোর দিকে নজর দেওয়া।"
এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, "জ্বালানি খরচ কমাতে সরকারের বিদ্যুৎ রেশনিং এর কথা ছিল। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে, তা হলো লোডশেডিং। অথচ সরকার বলেছিলো, ডিজেলের দাম বাড়ালে লোডশেডিং হবে না।"
"এখন শিল্প কারখানাগুলো গ্যাস পাচ্ছে না। এফবিসিসিআই সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে, গ্যাসে ভর্তুকি কিছুটা বাড়াতে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীরাও গ্যাসের জন্য বাড়তি খরচ করতে প্রস্তুত রয়েছে।"
বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ ৫ শতাংশ কমিয়ে এবং গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শিল্পে গ্যাস সরবরাহের পক্ষে মত দেন তিনি।
"ইতোমধ্যে গার্মেন্ট শিল্পে রপ্তানি অর্ডার ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এই সময়ে যেটুকুই রপ্তানি অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে তা যদি সময়মতো শিপমেন্ট করতে না পারি, ক্রেতারা অন্য দেশে চলে যাবে। একবার কোন ক্রেতা অন্য দেশে চলে গেলে, তাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে যাবে," বলেন তিনি।
এছাড়া, অর্থপাচারকারী ও কারসাজির মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।