বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদ গ্রেপ্তার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামিকে সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটায় মিরপুর সাড়ে এগার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলো দিতে আবদুল মাজেদ তার চেহারা পরিবর্তন করেছেন বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা।
আবদুল মাজেদকে মঙ্গলবার ১২টা ১৫ মিনিটে ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আবদুল মাজেদের ভারতে পালিয়ে থাকার খবর এর আগে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তার গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, 'আমরা তাকে বাংলাদেশেই পেয়েছি। হয়তো করোনার ভয়ে চলে এসেছে।'
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাসের নির্মম ও কলঙ্কজনক ওই ঘটনার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বিচারিক আদালত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আপিল বিভাগ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
এর আগে, ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর অন্য পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে এখনো পাঁচজন বিদেশে পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সেই খুনিরা হলেন কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ও লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী।