ক্ষমতাচ্যুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আর দায়ী করছেন না ইমরান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের জন্য মার্কিন প্রশাসনকে আর 'দায়ী' করছেন না পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। রোববার (১৪ নভেম্বর) দেশটির গণমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
চলতি বছরের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমচ্যুতির পর থেকেই সে ঘটনার জন্য বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং মার্কিন প্রশাসনকে দুষে আসছিলেন ইমরান। হঠাৎই আজ সেই জায়গা থেকে সরে আসলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, চলতি বছরের এপ্রিলে তার ক্ষমতাচ্যুতির জন্য মার্কিন প্রশাসনকে আর 'দায়ী' করেন না তিনি। সেইসঙ্গে, তিনি ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদের মধ্যে একটি 'মর্যাদাপূর্ণ' সম্পর্ক দেখারও আশা প্রকাশ করেন।
"আমি যতদূর জানি, বিষয়টি শেষ হয়ে গেছে," কথিত ষড়যন্ত্রে মার্কিন ভূমিকা সম্পর্কে এ কথা বলেন ইমরান।
"মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটি প্রভু-ভৃত্য বা প্রভু-দাসের সম্পর্কের মতো ছিল এবং আমাদেরকে সব সময়ই ভাড়া করা বন্দুকের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এর জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে আমার নিজের সরকারকেই বেশি দায়ী বলে মনে করি," যোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রাক্কালে নিজের মস্কো সফরকে 'বিব্রতকর' বলে অভিহিত করেন পিটিআই চেয়ারম্যান। অবশ্য নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে তিনি জানান, সফরটি কয়েক মাস আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, পাকিস্তানের জন্য তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সেনাবাহিনী 'গঠনমূলক ভূমিকা' পালন করতে পারে।
এর আগে ইমরান জোর দিয়ে বলেছিলেন, সামরিক-বেসামরিক সম্পর্কের মধ্যে অবশ্যই ভারসাম্য থাকা উচিত; কারণ নির্বাচিত সরকারের ওপর দায়িত্ব বর্তায় জনগণের দ্বারা, সেখানে সরকারের কর্তৃত্ব অন্য কোথাও নির্ভরশীল হতে পারে না।
পিটিআই চেয়ারম্যানের এমন মন্তব্য অবশ্য এই প্রথম নয়। গেল মাসে তিনি একজন ক্ষমতাহীন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেছিলেন, "ক্ষমতার শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও, অন্য জায়গা থেকেই আদেশগুলো আসতো।"