বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ভারসাম্য আসবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক
আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, "সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কমার্শিয়াল এলসি ওপেনিং বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সঠিক নয়।"
তিনি বলেন, নভেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত এলসি ওপেন হয়েছে ১২৬৩ মিলিয়ন ডলারের। গত মাসের এ সময়ে যা ছিল ১২৩২ মিলিয়ন ডলার। অক্টোবরে এলসি ওপেন হয়েছে ৪৭৪৩ মিলিয়ন ডলারের।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ২৩.৩২ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছিল ২৭.৩২ বিলিয়ন ডলারের।
সে হিসাবে, আগের বছরের অক্টোবরের তুলনায় এলসি খোলা কমেছে ৪ বিলিয়ন ডলার। ব্যাংকগুলো বলছে, হাতে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় তারা কমার্শিয়াল এলসি খোলা থেকে বিরত থাকছে।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেছেন, কমার্শিয়াল এলসি ওপেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
"ব্যাংকগুলো তাদের রেমিট্যান্স আয় ও ব্যয় সাপেক্ষে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল বিবেচনায় ঋণপত্র খুলছে," বলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, বিশেষ তদারকিতে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিদেশি মুদ্রার কোনো লোন ডিফল্ট হয়নি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তা হতেও দেবে না।
অবশ্য খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে বর্তমানে ব্যাংকগুলো বাণিজ্যিক এলসি খোলা একরকম বন্ধই হয়ে গেছে। এসব কারণে সামনের দিনগুলোতে পেমেন্টের চাপ কমে আসবে। সেদিক থেকে দেখলে আগামী বছরের শুরুর দিকে ডলারের চাহিদা কিছুটা কমে আসার কথা।
তবে, এক্সপোর্ট ও রেমিট্যান্সে উল্লেখযোগ্য গ্রোথ হচ্ছে না বলে জানান তারা। ফলে ফেব্রুয়ারি নাগাদ চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য আসবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।