বরিশালে করোনা ইউনিট থেকে পালালেন দুই রোগী, থানায় জিডি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে থাকা দুই রোগী পালিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় বুধবার (০৮ এপ্রিল) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
আইসোলেশনে থাকা পালিয়ে যাওয়া দুই রোগী হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার লবনগোলা গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী নাদিরা বেগম (৩৫) ও ভোলা সদর উপজেলার চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামের নাজির আহমেদ সিকদারের ছেলে নুরুল ইসলাম সিকদার (৬৫)।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন জানান, নাদিরা বেগম জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে গত ৫ এপ্রিল রাতে ভর্তি হন। একদিন আইসোলেশনে থাকার পর গত ৬ এপ্রিল করোনা ইউনিট থেকে তিনি পালিয়ে যান। অন্যদিকে একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল ভর্তি হন নুরুল ইসলাম সিকদার। তিনদিন আইসোলেশনে থাকার পর গত ৭ এপ্রিল করোনা ইউনিট থেকে তিনিও পালিয়ে যান।
ডা. এসএম বাকির হোসেন আরও জানান, তাদের দু'জনেরই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই তারা পালিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে থেকে ওই দুই জন পালানোর ঘটনায় বুধবার ও মঙ্গলবার কোতয়ালী মডেল থানায় পৃথক দু'টি সাধারণ ডায়রী (জিডি) করা হয়েছে। এছাড়া এভাবে যেন করোনা ইউনিট থেকে কোনো রোগী চলে যেতে না পারে সে জন্য পুলিশ প্রশাসনকে পাহারা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ওসি মো নুরুল ইসলাম জানান, ভোলা ও বরগুনা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা জানা গেছে নাদিরা বেগম ও নুরুল ইসলাম সিকদার নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাদেরকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
ওসি মো নুরুল ইসলাম বলেন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তরক্ষী রয়েছে। তাদের চোখ এড়িয়ে কিভাবে দু'জন পালালো তা বোধগম্য নয়। নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের আরো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।