কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ: প্রস্তুত মঞ্চ, আসছেন নেতাকর্মীরা
সব প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে আজকের সমাবেশের জন্য কুমিল্লার টাউন হল প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছেন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী।
সমাবেশস্থলে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা না আসলেও, সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কুমিল্লায় অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। দুপুরে তাদের অনুষ্ঠানস্থলে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য প্রতীকী আসন রাখা হয়েছে।
তবে আজকের সমাবেশে খণ্ড খণ্ড মিছিল প্রবেশ করলেও ফেস্টুন নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আগত সকলের জন্য রাজশাহীর আমেরিকা প্রবাসী এক বিএনপি নেতা পানির ব্যবস্থা করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার বিকেলে জনসমাগম বেড়ে যাওয়ায় মঞ্চ তৈরিতে বেগ পেতে হয় আয়োজকদের। ফলে সন্ধ্যায় কাজ বন্ধ রাখতে হয় তাদেরকে। শেষ রাতে মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়।
শনিবার সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ঢোল-তবলার আওয়াজ ও মিছিলে মুখর হয়ে উঠছে টাউন হল প্রাঙ্গণ।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি থেকে আসা ছাত্রদল নেতা আবদুল আজিজ জানান, "গতকাল রাতে কুমিল্লা টাউন হল প্রাঙ্গণে এসেছে। রাত কাটিয়েছি এখানেই।"
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের যুবদল নেতা আবুল বাশার জানান, "ধর্মঘটের শঙ্কায় দুইদিন আগে কুমিল্লায় এসে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান নিই। আমাদের উদ্দেশ্য যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করা।"
টাউন হলের সমাবেশকে সামনে রেখে পুরো কুমিল্লায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর, মডার্ন হাইস্কুল, ধর্মপুর রেলগেট, শাসনগাছা রেলগেট, টমছমব্রিজ, চকবাজারসহ নগরীর সকল প্রবেশদ্বারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জনসাধারণের চলাচলে থাকছে না আলাদা নির্দেশনা
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীর প্রাণকেন্দ্র টাউন হল ও এর আশেপাশের এলাকায় সাধারণ জনগণের চলাচলের জন্য থাকছে না আলাদা কোনো নির্দেশনা। অন্যান্য দিনের মতো চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জিয়াউল হক টিপু।
তিনি জানান, "জনগণের নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যান্য সময়ের মতো শনিবারেও সাধারণ জনগণের চলাচলের জন্য আলাদা রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশনা নেই।"
এদিকে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে টাউন হল প্রাঙ্গণ লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে পুরো সমাবেশস্থল ভরপুর হয়ে গেছে।