একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছে না জেড-লাইব্রেরি, আনা’স আর্কাইভে নতুন শুরু!
জেড-লাইব্রেরি বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনতে তৎপর তারা। কিন্তু জেড-লাইব্রেরিকে ফিরিয়ে আনার জন্যও চেষ্টার কমতি হচ্ছে না। খবর গুডইরিডার-এর।
ইন্টারনেট আর্কাইভারদের অনেকেই জেড-লাইব্রেরি বন্ধ হওয়ার আগে এর সংগ্রহে থাকা সবগুলো কনটেন্ট 'ব্যাক আপ' করতে ও সেগুলো আবার 'ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতে' চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এমন একটি সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে 'আনা'স আর্কাইভ'। গত কয়েক সপ্তাহ আগেই এটি প্রস্তুত করা হয়। এ ওয়েবসাইটটি বর্তমানে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে 'পৃথিবীর সব বইয়ের ক্যাটালগ তৈরি করার চেষ্টা করছে'।
তবে এ ওয়েবসাইটের পেছনে যারা রয়েছেন, তারা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছেন। টরেন্ট ফ্রিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েবসাইটটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন জানিয়েছেন, তারা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে ও কাজের ক্ষেত্রে কোনো চিহ্ন না রাখতে যা যা করার প্রয়োজন, সবই করছেন।
আর জেড-লাইব্রেরির সঙ্গে জড়িত দুই রাশিয়ান ভ্যালেরিয়া এরমাকোভা ও অ্যান্টন ন্যাপোলস্কি নিজেদের গোপনীয়তা বজায় রাখা নিয়ে একদমই ভাবেননি বলেই এফবিআইয়ের তাদেরকে শনাক্ত করা সহজ হয়ে গিয়েছিল।
আনা'স আর্কাইভের দাবি, তারা স্রেফ একটি সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছেন। তারা যেটা করছেন তা হলো, ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেওয়া কোন সাইট থেকে তারা তাদের অভীষ্ট ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তারা মনে করেন, যেহেতু তারা তাদের সাইটে কোনো কনটেন্ট হোস্ট করছেন না, তাই তাদের এ কাজটি বৈধ।
তাদের ওয়েবসাইটে লেখাই আছে, ব্যবহারকারীরা কোনো থার্ড-পার্টি ওয়েবসাইট থেকে কোনো কনটেন্ট ডাউনলোড করলে তার জন্য আনা'স আর্কাইভকে দায়ী করা যাবে না।
এ আনা নামক ব্যক্তিটি কে তা নিয়ে বিশেষ কিছু এখনো জানা যায়নি। তবে এ ওয়েবসাইটটির আরও এ ধরনের আর্কাইভিস্টদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে।
এরকম একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে প্রাইভেট লাইব্রেরি মিরর বা পিলিমি। যেসব ওয়েবসাইট অবৈধভাবে কপিরাইট করা কনটেন্ট সরবরাহ করে, সেগুলোর ব্যাকআপ হচ্ছে পিলিমি। জেড-লাইব্রেরি নিজেই লিবজেন-এর ব্যাকআপ ওয়েবসাইট ছিল।
সবমিলিয়ে এটাই পরিষ্কার যে, স্রেফ জেড-লাইব্রেরিরর মতো একটা-দুটো ওয়েবসাইটকে অকেজো করে দিলেই ইন্টারনেটে কপিরাইটেড কনটেন্টের অবৈধ বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে না। কারণ, এখানে দুপক্ষই মনে করে তাদের মতাদর্শ সঠিক। ফলে এটি আইনগত সমস্যার চেয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিগত সমস্যা হিসেবেই বেশি প্রকট হয়ে ওঠে।