‘জার্মানির বাদ পড়াটা চরম বিপর্যয়’
দল তারকা ঠাসা না হলেও কাতার বিশ্বকাপে জার্মানিকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভাবা হচ্ছিল। সেটা অবশ্য তাদের বিশ্বকাপ রেকর্ড ও চারবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে মূলত। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে অন্য চিত্র। হারে শুরু করা জার্মানি জয়ে গ্রুপ শেষ করলেও শেষ ষোলোতে উঠতে পারেনি। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। এমন বিদায়কে টমাস মুলার বলছেন 'চরম বিপর্যয়।'
কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কোস্টারিকার মুখোমুখি হয় জর্মানি। ঝুলিতে মাত্র এক পয়েন্ট থাকায় এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না। কিন্তু ৪-২ গোলের জয়ও তাদের বিদায় ঠেকাতে পারেনি। একই সময়ে শুরু হওয়া জাপান-স্পেনের ম্যাচের সমীকরণের মারপ্যাঁচে পড়ে থেকে গেছে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা। একটি করে জয়, হার ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এবারের মতো বিশ্বকাপ যাত্রা থামাতে হয়েছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
রাশিয়া বিশ্বকাপে সময়টা ভালো যায়নি, গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যেতে হয় তাদের। সেটার পুনরাবৃত্তি ঘটলো এবার। অথচ এই দুই আসরের আগে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে মাত্র একবার গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল ফুটবলের এই পরাশক্তি। তাই টানা দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়াটাকে চরম বিপর্যয় হিসেবে দেখছেন জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপে ১০টি গোল করা মুলার।
কোস্টারিকার বিপক্ষে জিতেও দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার পর মুলার বলেন, 'এটা একটা চরম বিপর্যয়। এটা আমাদের জন্য অবিশ্বাস্য রকমের তিক্ত অভিজ্ঞতা। কারণ আমাদের ফলাফল যথেষ্ট হতো… (যদি জাপানের কাছে স্পেন না হারতো)। শক্তিহীনতার অনুভূতি হচ্ছে।'
২০১০ সালে জার্মানি জাতীয় দলে অভিষেক হয় মুলারের, সে বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ অভিষেকও হয়ে যায় এই ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের। এরপর দেশের জার্সিতে খেলেছেন ১২১টি ম্যাচ, করেছেন ৪৩টি গোল। অনেকেই তার শেষ দেখতে পাচ্ছেন। অবসর নিয়ে ম্যাচের পর প্রশ্ন করা হলে মুলার বলেন, 'যদি জার্মানির হয়ে এটাই আমার শেষ খেলা হয়ে থাকে, তাহলে এটা খুবই আনন্দের ছিল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।'
জাপানের বিপক্ষে হার দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় জার্মানির। পরের ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেনি তারা, স্পেনের বিপক্ষে আটকে যায় ড্রয়ের ফাঁদে। শেষ ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না, কিন্তু ছিল অনেক সমীকরণ। কিন্তু স্পেনের হারে সমীকরণ পাল্টে যায়, যা আর মেলানো হয়নি জার্মানির। তাই গ্রুপ পর্ব থেকেই তারা চলে গেলো দর্শক সারিতে।