১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নয়া পল্টনে জমায়েত বিএনপি নেতারা
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে সামনে রেখে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্দেশ অমান্য করে কয়েকশ বিএনপি নেতাকর্মীকে তাদের সদর দপ্তরের সামনে রাস্তা অবরোধ করে হাতে ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
উক্ত এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকার বিকল্প প্রস্তাব না দিলে নয়াপল্টনেই সমাবেশ হবে।
তিনি বলেন, "সরকার যদি বিকল্প গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব না দেয় তাহলে নয়া পল্টনেই আমাদের সমাবেশ হবে।"
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, "আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। আমরা নয়া পল্টনে সমাবেশের কথা বলেছি। এখন বিকল্প প্রস্তাব দিতে হলে সরকারকে দিতে হবে। সরকারকে গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব দিতে হবে।"
নয়া পল্টনের সমাবেশের অনুমতি পুলিশ না দিলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "পুলিশ পুলিশের কাজ করবে আমরা আমাদের কাজ করবো। নয়া পল্টনের সমাবেশ করব। তবে আমরা চাই পুলিশ যেন দলীয় ভূমিকা পালন না করে।"
মির্জা আব্বাস বলেন, "আওয়ামী লীগের গুলিস্তান অফিসের সামনে অফিস সড়ক বন্ধ থাকে। লীগের সমাবেশের সময় পুলিশ রাস্তার ম্যাপ দিয়ে দেয় জনগণকে চলাচলের জন্য।"
"আমাদের সমাবেশে পুলিশ ওরকম রাস্তার ম্যাপ দিয়ে দেবে," বলেন তিনি।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, "আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। গণসমাবেশ ঘিরে একটি রিকশার টায়ার ব্লাস্ট হলেও দায় সরকারের।"
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ভোলা চরফ্যাশন ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আলম টিবিএসকে বলেন, "আমি গত ৫ তারিখেই ঢাকা চলে এসেছি। আমাদের চরফ্যাশন ইউনিয়ন থেকে কম করে হলেও ২ হাজার লোক ঢাকায় চলে এসেছে।"
"আমরা আগেই ঢাকায় চলে এসেছি কারণ আমরা জানি সরকার লঞ্চ বন্ধ করে দিবে," বলেন তিনি।
তমাল আহমেদ, কিশোরগঞ্জ থেকে গত ৪ তারিখ ঢাকায় এসেছেন।
তিনি বলেন, "আমার আমার নামে এ পর্যন্ত ১১টি মামলা দিয়েছে। এলাকায় ঠিক মতো থাকতে পারি না।"