কুমিল্লা, চট্টগ্রাম থেকে জামায়াতের ২২ নেতাকর্মী আটক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সাথে সংহতি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় একযোগে মিছিল বের করা জামায়াতের ২২ জন নেতাকর্মীকে কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম থেকে আটক করেছে পুলিশ।
কুমিল্লায় জামায়াতের গণমিছিলের সময় নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে ১২ নেতাকর্মীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আরো দুইজনকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা নগরীর লাকসাম রোডের সালাহউদ্দিন হোটেল থেকে জামায়াত শিবিরের গণমিছিলটি ব্যানার নিয়ে টমছমব্রিজ এলাকায় আসলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এসময় মিছিলটি পণ্ড হয়ে যায়।
গণমিছিল থেকে দৌড়ে পালানোর সময় পৃথকভাবে ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে নগরীর তালপুকুরপাড় লস্করভিলার খোরশেদ আলম ও মো. এনামুল হকের নাম জানা গেছে।
কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া ১২জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন, "জামায়াতের মিছিল শেষ হবার পর দুইজনকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। অন্য মামলার আসামি সন্দেহে তাদের আটক করা হয়। তাদের পরিচয় মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামি হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।"
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম নগরীতে জামায়াতের মিছিল থেকে ৮ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সকাল ৯টার দিকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা ফেরার সময় পুলিশ ধাওয়ার দিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
পরে সেখান থেকে বাছাই করে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক স্বপন জ্যোতি বড়ুয়া দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।"
নগরীর শুলকবহর মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটিতে নেতৃত্ব দেন নগর জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
এতে সিনিয়র নায়েবে আমির নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিনসহ নগর জামায়াতের নেতারা অংশ নেন।