ছেঁড়া-ফাটা নোট দেওয়ার কারণে বারবার বিকল হচ্ছে মেট্রোরেলের টিকিট মেশিন
যাত্রীরা মেট্রোরেলের স্টেশনে বসানো টিকিট ভেন্ডিং মেশিনগুলোতে ছেঁড়া-ফাটা কিংবা ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট দিচ্ছেন বলেই বারবার বিকল হচ্ছে সেগুলো। মেশিনগুলো এ ধরনের নোট গ্রহণের জন্য প্রোগ্রাম করা হয়নি।
মেশিনগুলোতে পুরনো বা ৫০০-১০০০ টাকার নোট না দিতে বলা হয়েছে যাত্রীদেরকে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁও স্টেশনের তিনটি ভেন্ডিং মেশিনেই সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালে স্টেশনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "পুরনো ও ৫০০/১০০০ টাকার নোট দেওয়ার কারণে আজ আগারগাঁওয়ে মেশিন কয়েকবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রতিবার আমাদের টেকনিক্যাল টিম কয়েক মিনিটের মধ্যেই মেশিন খুলে টাকা বের করে সেটি চালু করে দিয়েছে।"
আরেক প্রশ্নের জবাবে, এম এ এন সিদ্দিক বলেন, "আমাদের দেশে গত ৫০ বছরে একই টাকার অনেক নোট হয়েছে। মেশিনের একটা ক্যপাসিটি আছে। সব নোট এখানে ইনপুট দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা মেশিনটাকে গত পাঁচ বছরের নোট চিনিয়েছি।"
"আমরা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বন্ধ রেখেছি। কারণ সবাই যদি ৬০ টাকা ভাড়ার জন্য এই রকম বড় নোট দেয়, তাহলে এত টাকার ভাংতি দেওয়া সম্ভব হবে না," জানান তিনি।
এদিকে, রোববার থেকে মেট্রোরেলে যাত্রীর সংখ্যা কমেছে। রোববার ৬৫২৮ সিঙ্গেল টিকিট বিক্রি হয়েছে, শনিবারে বিক্রি হয়েছিল ৯২৮৯টি টিকিট।
এছাড়া, শনিবার ১,৩৪৮টি এমআরটি পাস বিক্রি হয়েছিল, রোববার বিক্রি হয়েছে ১,০৩৮টি পাস।