ওয়াসার এমডির যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি থাকার অভিযোগের তদন্ত করতে দুদককে উচ্চ আদালতের আদেশ
ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ তথা ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনা সংক্রান্ত দুটি অভিযোগ সম্প্রতি জমা পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। এসব অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একটি জাতীয় দৈনিকে যুক্তরাষ্ট্রে তাকসিম এ খানের ১৪ বাড়ি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।
দুদককে ১৫ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে।
দুদকের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ খবর আদালতের নজরে আনেন।
তবে সোমবার (৯ জানুয়ারি) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর কাছে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ 'শতভাগ মিথ্যা' বলে দাবি করেছেন ঢাকা ওয়াসার এমডি।
'আমেরিকাতে আমার কিংবা পরিবারের কারো নামে কোনো বাড়ি নেই। যে প্রতিবেদন হয়েছে তার কোনো তথ্য সঠিক নয়। গত ১৩ বছর ধরে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে এসব রটিয়ে যাচ্ছে,' তিনি বলেন।
এদিকে তদন্তের আগে দুদক কেন বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে এনেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান টিবিএস-কে বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের পর তিনি নিজে স্বতন্ত্রভাবে বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছেন।
'এর আগে একাধিক আদালতও ঢাকা ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দুদকও স্বাধীনভাবে এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো যাচাই করে দেখছে। এর ফাঁকে আমি কেবল এমডির বিরুদ্ধে আরও নতুন অভিযোগ প্রকাশের কথা আদালতের নজরে এনেছি,' তিনি যোগ করেন।
এদিকে তাকসিম এ খান বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে কেবল তার মার্কিন নাগরিকত্বের তথ্যটিই সঠিক। তিনি বলেন, 'আমি ১৯৮৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। প্রতিবেদনে শুধু একটি বিষয় ঠিক লিখেছে সেটা হচ্ছে আমার যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ।'
'আমার স্ত্রী সহ আমার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। আমাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এনে ওয়াসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল,' বলেন তিনি।
২০০৯ সালে ওয়াসার এমডি পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পান তাকসিম। বহু বিতর্ক ও সমালোচনা সত্ত্বেও তার মেয়াদ ছয়বার বাড়ানো হয়।