পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলার কার্যক্রম ৬ মাস স্থগিত
ঢালিউড অভিনেত্রী পরী মনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৯ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচাপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে পরী মনির বিরুদ্ধে এ মামলা বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্টের জারি করা রুল ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার আদালতে পরী মনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। আইনজীবী মঞ্জুরুল হক বলেন, পরী মনির বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত থাকবে এবং এ সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি হতে হবে। তা নাহলে নির্ধারিত সময়ের পর আবারও এ মামলার কার্যক্রম চালু হতে পারে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত বছরের ১ মার্চ পরী মনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
গত বছরের ৫ জানুয়ারি পরী মনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চার্জ গঠন করে আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. নজরুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন। এরপর ৩০ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন পরী মনি।
২০২১ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরী মনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। এরপর ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরী মনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরী মনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। র্যাবের দাবি, ওই সময় পরী মনির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরী মনির জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান পরী মনি।