জিদানের অপমানে সরব ফুটবল মহল, ক্ষমা চাইলেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যর্থতার পর দিদিয়ের দেশমের পরিবর্তে জিনেদিন জিদানই ছিলেন ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার অন্যতম প্রধান দাবিদার। ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী এই সাবেক মিডফিল্ডারের প্রতি দেশটির ফুটবল মহলের অনেকে সমর্থন জানালেও, তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন। বরং দিদিয়ের দেশমের সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে তারা।
শুধু তাই নয়, জিদানের কোচ হওয়ার গুঞ্জনের বেশ কড়া জবাব দিয়েছিলেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নোয়েল লে গ্রেত। বিশ্বকাপের পর ব্রাজিলসহ একাধিক দেশের জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রশ্নে জিদানের নাম জড়িয়েছে। এ ব্যাপারে নোয়েল বলেছিলেন, "জিদান ব্রাজিলে যাবে? আমার কিছু যায় আসে না। দেশের হোক কিংবা ক্লাবের কোচিং, তিনি যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারেন। জিদান কি আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন? একেবারেই না। আর এমনিতেও আমি তার ফোন ধরতাম না।"
ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবল তারকার প্রতি নোয়েলের এমন বাঁকা মন্তব্য শুনেই চটেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। ফ্রান্সের তরুণ তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে থেকে শুরু করে স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ পর্যন্ত জিদানকে 'অসম্মান' করার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এমবাপ্পের ভাষ্যে, "জিদান মানেই ফ্রান্স। তার মতো কিংবদন্তিকে এভাবে অসম্মান করা মোটেও কাম্য নয়।"
অবশেষ প্রবল প্রতিবাদের মুখে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন নোয়েল লে গ্রেত। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি বলেছেন, "আমার করা মন্তব্যগুলোর জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইতে চাই; ওগুলো একেবারেই আমার চিন্তাভাবনাকে প্রতিফলিত করে না। তিনি (জিদান) খেলোয়াড় হিসেবে যেমন ছিলেন এবং যে ধরনের কোচ, তাতে ওইসব মন্তব্যের মাধ্যমে তার প্রতি আমার মনোভাব প্রকাশ পায় না।"
তিনি আরও যোগ করেন, "আমি স্বীকার করছি, আমি অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছিলাম যার ফলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। জিদান জানেন, তার প্রতি আমার অগাধ সম্মান রয়েছে, অন্যসব ফরাসিদের মতোই।"
শুধু জিদানকেই নয়, বর্তমান ব্যালন দ'অর জয়ী ফরাসি ফুটবলার করিম বেনজেমাকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন নোয়েল লে গ্রেত। তিনি বলেছিলেন, "বেনজেমার অনুপস্থিতি? হয়তো বেনজেমা বিশ্বকাপে থাকলে জিরু মাঠে থাকতেন না এবং আমরা বিশ্বকাপে এত গোল করার সুযোগ পেতাম না।"
সূত্র: মার্কা