ইউক্রেনের লবণ খনির শহর সোলেদার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া
কয়েক মাস যুদ্ধ চলার পর অবশেষে রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের লবণ খনির শহর সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর বিবিসি'র।
এ নিয়ন্ত্রণের ফলে ১০ কিলোমিটার দূরের শহর বাখমুতে ইউক্রেন সেনাদের রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে 'ইনফরমেশন নয়েজ'র অভিযোগ এনে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সোলেদারে এখনো যুদ্ধ চলমান রয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ইগর কোনাশেঙ্কভের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদসংস্থা তাস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাশিয়ান বাহিনী সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
তাস-এর খবরে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেন বাহিনীর অবস্থানে ক্রমাগত বিমান, মিসাইল, ও আর্টিলারি হামলা চালিয়ে সোলেদার দখল করেছে রাশিয়ান বাহিনী।
কোনাশেঙ্কভ বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী গত তিন মাসের সোলেদারের যুদ্ধে ৭০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যকে হত্যা ও ৩০০ অস্ত্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সোলেদার অঞ্চলে ইউক্রেন বাহিনীর নিক্ষিপ্ত মার্কিন হিমার্স মাল্টিপল লঞ্চ রকেট ব্যবস্থার নয়টি রকেট, এবং ওলখা ও উরাগন রকেট লঞ্চার ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে সোলেদার শহরে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ সপ্তাহে বলেছেন, পুরো শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক সোলেদার ও বাখমুতের যুদ্ধকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম ভয়ংকর ভার্দুনের যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের মুখপাত্র সেরি শেরেভাতি বলেছেন, রাশিয়া সোলেদারে এর শ্রেষ্ঠ মার্সেনারি যোদ্ধা ও অন্য ইউনিটগুলোকে পাঠিয়েছে।
শহরটি রাশিয়ার দখলে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, 'আমাদের কৌশলগত অবস্থান যেন শত্রুর কাছে প্রকাশ না পায় সেজন্য আমরা আর কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করব না।'
তবে সোলেদার জয়ের সঙ্গে মার্সেনারি দল ওয়াগনারের কোনো সম্পর্কের কথা নিজেদের দাবিতে উল্লেখ করেনি রাশিয়া।