নেপালের সেই ইয়েতি এয়ারলাইনসের মালিকও প্রাণ হারিয়েছিলেন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়
নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি বিমান রোববার (১৫ জানুয়ারি) ৭২ জন যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার পথে শহরের পুরনো এবং নতুন বিমানবন্দরের মাঝে বিধ্বস্ত হয়। নেপালে গত প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জন নিহত ও ৪ জন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। আরও মর্মান্তিক ব্যাপার হলো, ইয়েতি এয়ারলাইনসের মালিক অ্যাং শেরিং শেরপাও ২০১৯ সালে একই রকম একটি আকাশপথের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারী এবং আরও কয়েকজন মন্ত্রী তেরথুম জেলায় নতুন বিমানবন্দর পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে একই হেলিকপ্টারে ছিলেন অ্যাং শেরিংও।
ছয়জনকে নিয়ে ভোর ৬টা নাগাদ হেলিকপ্টারটি আকাশে ওড়ে। গন্তব্য থেকে ফেরার পথে বেলা দেড়টা নাগাদ তেপলজং এর পথিভরা জেলায় এটি বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় পাইলটসহ হেলিকপ্টারে থাকা সকল যাত্রী মারা যান। হেলিকপ্টারটি ছিল নেপালের সবচেয়ে পুরনো একটি হেলিকপ্টার রেসকিউ কোম্পানি, এয়ার ডায়নেস্টি হেলি সার্ভিসের।
উল্লেখ্য যে, ওই হেলিকপ্টারে পাঁচজনের বসার জায়গা ছিল, কিন্তু তাতে উঠেছিলেন ছয়জন। এটিকেই দুর্ঘটনার নেপথ্য কারণ হিসাবে দেখেন কেউ কেউ।
ইয়েতির পাশাপাশি নেপালের আরও এক জনপ্রিয় বিমান সংস্থা, তারা এয়ারলাইনসের মালিকানা ছিল অ্যান শেরিং শেরপার হাতে। এছাড়াও, তিনি নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা হিমালয়ান এয়ারলাইনসেরও মালিকও ছিলেন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে