শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়ছে ১৭৯%, কার্যকর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কয়েকদিন পর আজ আবাসিক, সার ও চা উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস ছাড়া অন্য খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৪ থেকে ১৭৯% পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
নতুন দাম ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গণশুনানি ছাড়াই (সদ্য মঞ্জুর করা নীতি) বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করলো। এর আগে ১২ জানুয়ারি সরকার খুচরা পর্যায়ে দাম ৫% বাড়িয়ে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম ৭.৪৮ টাকা করার ঘোষণা দেয়।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বর্তমানের ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বেড়ে ১৪ টাকা হবে (১৭৯% বৃদ্ধি)।
এছাড়া ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্টের গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হবে (৮৮% বৃদ্ধি)। বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে এই দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হচ্ছে (১৫০% বৃদ্ধি)।
মাঝারি শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের নতুন দাম ১১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বেড়ে হবে ৩০ টাকা (১৫৫% বৃদ্ধি)।
এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বেলায় গ্যাসের মূল্য হবে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা, যেখানে এতদিন দাম ছিল ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা (১৪% বৃদ্ধি)।
তবে আবাসিক, সার ও চা উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি।
গত বছরের জুনে, রিটেইল গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের গড় দাম ২২.৭৮% বাড়ায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এদিকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি বাংলাদেশের ব্যবসা খাতে প্রতিযোগিতার ক্ষতি করতে পারে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন শিল্পপতি। যদিও অনেকেই নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য আরও বেশি অর্থ দিতে ইচ্ছুক, অন্যদের যুক্তি হলো চলমান গ্যাস সংকটকে সমাধান না করে দাম বাড়ানো হলে শিল্পখাত টিকে থাকবে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, তারা সম্প্রতি সরকারকে চিঠি দিয়েছেন এবং গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন হলে অতিরিক্ত অর্থ দিতে রাজি আছেন।
তিনি টিবিএসকে বলেন, "কিন্তু যদি বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে শিল্প টিকে থাকতে পারবে না।"