গুগল স্ট্রিট ভিউতে মুগ্ধ? জেনে নিন গুগলের হয়ে বাংলাদেশের যে কোম্পানি কাজটি করছে…
পথেঘাটে চলতে-ফিরতে হয়তো আপনিও দেখেছেন 'অদ্ভূতদর্শন' 'স্পাই কার' সদৃশ ছাদে ৩৬০ ডিগ্রী ক্যামেরা বসানো গাড়িগুলোকে। হয়তো দেখেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে; এগুলোর কাজ কী তা ভেবে আশ্চর্যও হয়েছেন।
'কৌতুহল উদ্দীপক' এসব মোটরকার ডিকোড লিমিটেড নামক স্থানীয় একটি কোম্পানির। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে গুগল স্ট্রিট ভিউ প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে। তাদের কারের সংখ্যা ছয়টি। এরমধ্যে পাঁচটি প্রতিদিন আট ঘণ্টাব্যাপী কাজে বেরোয়। আর একটি গাড়ি থাকে ব্যাকআপ হিসেবে; যাতে পাঁচটির একটি কোনো কারণে বিকল হয়ে গেলে, সেই ঘাটতি এটা পূরণ করতে পারে। যেসব সড়ক মোটরকার চলাচলের মতো প্রশস্ত নয়, সেখানে মোটরসাইকেলের সাহায্যে ছবি তোলার পরিকল্পনাও করছে কোম্পানিটি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে গুগল স্ট্রিট ভিউ প্রকল্প। রাজধানী ঢাকার এমন সড়ক খুঁজে পাওয়াই মুশকিল যার নেই 'স্ট্রিট ভিউ' । দেশের অন্যান্য স্থানের সড়ক চিত্র ধারণেও হয়েছে অগ্রগতি। যেমন গুগল ম্যাপে ক্লিক করেই দেখা যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট বা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের চিত্র। আর ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আপলোড করা ছবিগুলো যেন আরও ঝকঝকে ও সুস্পষ্ট।
২০২০ সালের আগে আপলোড করা ছবিগুলো গুগল নিজেই তুলেছে। আর সাম্প্রতিক সময়ের কাজগুলো করছে ডিকোড।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক বড় পরিসরে চালিত হচ্ছে গুগল স্ট্রিট ভিউ প্রকল্প। এর আওতায় আসবে প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার কিলোমিটার সড়ক। এজন্য পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে গুগল, তারপর ২০২০ সালে ডিকোডের সাথে চুক্তি করে। তখন থেকেই এদেশীয় কোম্পানিটি সড়ক চিত্র ধারণের কাজটি করে চলেছে।
ডিকোডের স্ট্রিট ভিউ প্রকল্পের জন্য দরকার হয় সংক্ষিপ্ত পরিসরের কিন্তু উন্নততর লজিস্টিকস। যেমন সব কাজ ১৫-২০ জনের একটি কর্মী দলই সম্পন্ন করতে পারে, যারা পুরো দেশের জন্য ডেটাসেট তৈরিতে নিয়োজিত। এদের মধ্যে ১০ জন হয়তো মাঠপর্যায়ে থাকেন, আর ৭-৮ জন থাকেন ল্যাবে। কিন্তু, কাজটা ডিজিটাল না হয়ে ম্যানুয়াল হলে– ডিকোডের অন্তত ৫০০ জন কর্মীর প্রয়োজন পড়তো।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিকোড বাংলাদেশের অন্যতম আইটি-এনাবলড বা তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর কোম্পানি। বাংলাদেশে তারা গুগল স্ট্রিট ভিউ প্রজেক্ট- এর একমাত্র ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
যাত্রা শুরু থেকে গত আড়াই দশকে ডিকোড শুধু তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর কাজেই দক্ষতা প্রদর্শন করেনি, পাশাপাশি জড়িত হয়েছে বড় পরিসরে অ্যানিমেশন ও ড্রামা সিরিজ নির্মাণে। জড়িত হয়েছে বিভিন্ন জ্ঞান-ভিত্তিক ব্যবসার সঙ্গে। সাফল্য ও ব্যর্থতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কঠিন সংগ্রাম করে- নানান প্রতিকূলতার মধ্যে টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়ে গেছে।
বাংলাদেশে ফটোগ্রামেট্রির পথপ্রদর্শক
প্রথম দিকের আইটি-এনাবলড কোম্পানি হিসেবে একাধিক ডিজিটাল ক্ষেত্রে কাজের ছাপ রেখেছে ডিকোড। কিন্তু, ফটোগ্রামেট্রির জন্যই তারা সবচেয়ে বেশি পরিচিত, কারণ বাংলাদেশে তারাই প্রথম এটি এনেছিল।
'ফটোগ্রামেট্রি' বা আলোকবর্ণমিতি আসলে কী? এটি আসলে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক র্যাডিয়েন্ট ইমেজ বা তড়িচ্চুম্বকীয় প্রক্রিয়ায় উজ্জ্বল চিত্রধারণের পাশাপাশি চারপাশের পরিবেশের অন্যান্য বস্তুর ফটোগ্রাফিক ছবি তোলার মাধ্যমে সবকিছুকে রেকর্ড, পরিমাপ ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়া। এক কথায় এটা ভৌত বস্তু ও পরিবেশ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।
২০০০ এর দশকের শুরুতে ডেনিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (বা ড্যানিডা)-র সাথে অংশীদারত্বে ও তাদের সহায়তায় এই প্রচেষ্টা শুরু করে ডিকোড।
ডিকোডের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারোয়ার আলম বলেন, "আসলে তারা যা করেছিল, তা হলো- বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক উভয় দেশের একই ক্যাটাগরির দুটি কোম্পানিকে প্রথমে নির্বাচিত করে। এরপর তাদের কাছে জানতে চায়, যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে তারা আগ্রহী কিনা, যদি উভয়ে সম্মতি দেয়– তাহলে তারা ফ্রিতে জনশক্তি প্রশিক্ষণসহ আমাদের সফট নলেজ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়।"
এ প্রক্রিয়ায় ডিকোড এবং তাদের ড্যানিশ সহযোগী কোম্পানিকে ১০ লাখ ডলারের অনুদান দেয় ড্যানিডা। তবে আক্ষরিকভাবে অর্থ সহায়তার মাধ্যমে আসেনি এ অনুদান। সারোওয়ার ব্যাখ্যা করে বলেন, 'এর আওতায় আমরা ডেনমার্কে কর্মীদের পাঠিয়েছি, আর তারা তাদের ফটোগ্রামেট্রির প্রশিক্ষণ দিয়েছে; যার মাধ্যমে স্যাটেলাইট চিত্র, এরিয়েল ফোটোগ্রাফি বা ড্রোনের মাধ্যমে তোলা ছবিতে থাকা বিভিন্ন ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করা যায়'।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার জন্যও ফটোগ্রামেট্রির কাজ করে দিচ্ছে ডিকোড। এজন্য তারা মাক্সার বা প্লানেট- এর মতো বিভিন্ন স্যাটেলাইট কোম্পানির থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি সংগ্রহ করে। এসব ছবি বিভিন্ন প্রয়োজনে ডিকোডের কাছ থেকে নেয় সরকারি সংস্থাগুলো।
এরপর গ্রাহক সংস্থা– ছবির বিশেষ কোনো সংযোজন চাইতে পারে, যেমন কোনো একটি অংশের থ্রিডি মডেল তৈরি করে দিতে বলতে পারে।
সারোয়ার বলেন, 'তৃতীয় ড্যাপ (ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান) স্যাটেলাইট ইমেজের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়, এজন্য রাজউক তাদের হয়ে আমাদের ভূমি জরিপ করতে বলেছিল। আমরা ভূমির ডিজিটাল এলিভেশন মডেল, সার্ফেস মডেল ইত্যাদি তৈরি করে দেই। এভাবে আমরাও ড্যাপের অংশ হয়েছি'।
ডিকোডের যাত্রা
শুরুর দিকে রাস্টার ইমেজকে ( দ্বিমাত্রিক আয়তক্ষেত্রাকার ম্যাট্রিক্স বা স্কয়ার পিক্সেল গ্রিড এর মাধ্যমে) ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপদানের কাজ করেছে ডিকোড। ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। পশ্চিমা কোম্পানিগুলো ডিকোডের কাছে রাস্টার ছবি পাঠাত, সেগুলো ডিজিটাল করে দিতে।
১৯৯৭ সালে আইটি-এনাবল্ড ডিকোড প্রতিষ্ঠা করেন সারোয়ার আলম।
'শুরুতে আমরা বিদেশি কাজ করেছি। জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) সম্পর্কিত কাজগুলো আমরা আমেরিকান ফার্মগুলোর সাথে করেছি। ওই সময়ে ইউরোপ ও আমেরিকায় রাস্টার ইমেজকে বড় পরিসরে ডিজিটাইজ করা হচ্ছিল। রাস্তার পরিকল্পনা, নকশা, বাড়ির পরিকল্পনা, পৌরসভার নকশা ইত্যাদির ছবিকে একটি ভেক্টরের মাধ্যমে ডিজিটাইজড করা হয়। এসব নকশা তৈরির সময় কম্পিউটার না থাকায় কাজগুলো হাতেই করা হয়েছিল। হাতে আঁকা সেসব ছবিকেই বলা হতো রাস্টার ইমেজ'।
'তখন আমরা ক্যাডের মাধ্যমে (কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন) কাজ করেছি। অনেক আমেরিকান কোম্পানি আমাদের কাছে রাস্টার ইমেজ পাঠাত, আমরা সেগুলো ক্যাড সফটওয়্যারের ভেক্টরে কনভার্ট করে তাদের পাঠিয়ে দিতাম। জিআইএস খাতে এটা ছিল আমাদের প্রথম কাজ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধরুন আপনার কাছে এ ধরনের পুরোনো ছবি আছে, আপনি সেটার একটি ছবি তুলে আমাদের ইমেইলে পাঠালেন। তখন আমরা সেটাকে ডিজিটাইজ করে আবার আপনার কাছে পাঠাব, প্রথম কাজের ধরন এমনই ছিল'।
'আইটি-এনাবলড পরিষেবা রপ্তানিতে আমরা ছিলাম অন্যতম পথপ্রদর্শক কোম্পানি। আজও আমরা সে ধারা অক্ষুণ্ণ রেখেছি, কিন্তু এসময়ে অনেক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে আমাদের প্রতিষ্ঠান'- যোগ করেন তিনি।
প্রতিষ্ঠাতা সারোয়ার আলমের সাথেই জড়িয়ে রয়েছে ডিকোডের পথচলার কাহিনি– ২০০০ এর দশকের শুরুর দিকে তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতিও ছিলেন।
তৎকালীন পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সারোয়ার। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৫ সালে তিনি কমিশন থেকে পদত্যাগ করে পুরোদমে ব্যবসায় মনোযোগ দেন। তবে কমিশনে কর্মরত অবস্থাতেই ১৯৬০ এর দশকে কম্পিউটার ও আইটির ওপর ব্যাপক প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন তিনি।
অ্যানিমেশন: যে অভিযাত্রা পরে বোঝা হয়ে ওঠে
বিখ্যাত মিনা কার্টুনের প্রথম ছয়টি পর্ব তৈরির কাজ করেছিল ডিকোড। এজন্য সেসময় ৫০-১০০ জন শিল্পীর সাথে পার্টনারশিপ করেছিল।
'ওই সময় প্রতিফ্রেম ধরে হাতে আঁকা ছবির মাধ্যমে একাজ করতে হতো। প্রতিমিনিট চলমান দৃশ্য তৈরিতে লাগতো এমন ১০টি ছবি। এরপর সেগুলো স্ক্যান করে, চরিত্রগুলোর চলাফেরা, ভয়েস ডাবিং ইত্যাদি সম্পাদনার মাধ্যমে যোগ করতে হতো।'
তবে ডিকোডের প্রথম বড় অ্যানিমেশন কাজটি ছিল 'অ্যাডভেঞ্চার অব সিডনি' নামক একটি অ্যানিনেশন সিরিজ। এজন্য তারা ৪০০ জন শিল্পীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।
'তারা সবাই ছিল চারুকলার ছাত্র। বেলা তিনটা থেকে রাত পর্যন্ত তারা আমাদের সাথে কাজ করতো, আর সকালে ক্লাস করতো। এই উদ্যোগ থেকে বেশ কয়েকজন ভালো অ্যানিমেটর তৈরি হয়। এখন তাদের অনেকে ছোট পরিসরের বুটিক-স্টুডিও চালাচ্ছে'।
এক পর্যায়ে অ্যানিমেশন প্রকল্প ডিকোডের জন্য দায় হয়ে ওঠে, ফলে তারা এটি আর অব্যাহত রাখতে পারেনি। সারোয়ার বলেন, 'প্রথম সমস্যা হলো- আমাদের এখানে কারিগরি জনবলের যথেষ্ট অভাব আছে। ছোট কাজের জন্য হয়তো জনবল আছে, কিন্তু একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলে করার মতোন নেই। তাছাড়া, লজিস্টিকস অবকাঠামোও এখানে বেশ ব্যয়বহুল। বাংলাদেশে কোনো ব্যাংক বা বিনিয়োগকারী এখাতে পুঁজি লগ্নী করতে চায় না।
সারোয়ার অবশ্য আশাবাদী। আজো তিনি বাংলাদেশে অ্যানিমেশন প্রকল্প সফল করার স্বপ্ন দেখেন। 'একদিন আমরা খুব বড় পরিসরে এই প্রজেক্টের কাজ শুরু করতে চাই। আমরা সোনালী দিনেরই স্বপ্ন দেখি, চাই বৈশ্বিক পার্টনারশিপ'।
ডিকোডের কাজের পরিধি বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। ২০০০ এর দশকের শুরুতে আনিসুল হক ও মোস্তফা সারোয়ার ফারুকির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় 'একান্নবর্তী' এবং 'সিক্সটিনাইন' এর মতো টিভি সিরিয়াল নির্মাণেও কাজ করেছে।
উদ্ভাবনা ও জ্ঞানের শক্তিতে চালিত একটি ব্যবসা
'এখানে যা নেই, এমন নতুন কিছু করতে চাই– এটাই আমাদের প্রতিপাদ্য। আমরা জ্ঞানের ব্যবসায় থাকতে চাই। কারণে এতে সফল হলে প্রাপ্তিটা হয় অসামান্য' সারোয়ার বলছিলেন।
ডিকোডের স্ট্রিট ভিউ প্রকল্পের জন্য দরকার হয় সংক্ষিপ্ত পরিসরের কিন্তু উন্নততর লজিস্টিকস। যেমন সব কাজ ১৫-২০ জনের একটি কর্মী দলই সম্পন্ন করতে পারে, যারা পুরো দেশের জন্য ডেটাসেট তৈরিতে নিয়োজিত। এদের মধ্যে ১০ জন হয়তো মাঠপর্যায়ে থাকেন, আর ৭-৮ জন থাকেন ল্যাবে। কিন্তু, কাজটা ডিজিটাল না হয়ে ম্যানুয়াল হলে– ডিকোডের অন্তত ৫০০ জন কর্মীর প্রয়োজন পড়তো।
ডিকোডের স্ট্রিট ভিউ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে– শুধু এরই মূল্য দাঁড়াবে ৫ কোটি ডলার।
তবে একাজের অভিনব দিকটি হলো, এটা কখনোই শেষ হবার নয়।
নতুন নতুন রাস্তা নির্মিত হতেই থাকে দেশজুড়ে, এজন্য প্রতি দুই-তিন বছর অন্তর সেগুলোর স্ট্রিট ভিউ আপডেটও করতে হয়। যেমন পূর্বাচল গড়ে তোলার পর, অচিরেই এটি ছোট শহরে পরিণত হবে, যা এখনো গুগলের স্ট্রিট ভিউতে যুক্ত হয়নি।
আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রতিনিয়ত ছোট রাস্তাগুলিকে প্রশস্ত করার কাজ চলছে, তার সাথে বদলাচ্ছে সড়কের দুপাশের দৃশ্যপট। ফলে যোগ করার মতো নিত্যনতুন জিনিসের কমতিও নেই।