আর্থিক অনিয়মের দায়ে জুভেন্তাসের ১৫ পয়েন্ট কাটা!
ট্রান্সফার সম্পর্কিত হিসাব নিকাশে গরমিল করার দায়ে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাসের ১৫ পয়েন্ট কেটে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। ইতালিয়ান ঘরোয়া লিগের সবচেয়ে সফল এই ক্লাবটি এখন সামনের বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে পারবে কিনা তা শংকার মুখে পড়ে গিয়েছে।
আর্থিক অনিয়মের জন্য শাস্তি পাওয়া জুভেন্তাসের জন্য নতুন কিছু নয়। পয়েন্ট কাটা তো মামুলি ব্যাপার তাদের জন্য, ২০০৬ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে জুভেন্তাসকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল দ্বিতীয় সারির লিগে। আর এবার খেলোয়াড়দের দাম এবং বেতনের হিসাব ভুল দেওয়ার ফলে ১৫ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হল তুরিনের বুড়িদের।
জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে ইতালিয়ান এক প্রসিকিউটর অভিযোগ তোলেন আর্থিক অনিয়মের। তার অভিযোগ ছিলো, খেলোয়াড় কেনা-বেচার সময় তাদের সঠিক ট্রান্সফার ফি থেকে কম দেখিয়েছে জুভেন্তাস, এছাড়াও খেলোয়াড়দের বেতনের হিসাবেও গরমিল করেছে তারা। বিশেষ করে নতুন এবং কম পরিচিত খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে এটি বেশি করেছে জুভেন্তাস, যেন নিজেরা অবৈধভাবে আর্থিক লাভ করতে পারে।
এরকম ৬২ টি ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন সেই প্রসিকিউটর, যার মধ্যে ৪২ টিতেই জড়িয়ে আছে জুভেন্তাসের নাম! অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় এই মৌসুমে জুভেন্তাসের ১৫ পয়েন্ট কেটে নেওয়ার আদেশ দেয় আদালত।
সিরি আ'তে এই মৌসুমে জুভেন্তাসের পয়েন্ট ছিলো ৩৭, শীর্ষ স্থানে থাকা নাপোলি থেকে ১০ পয়েন্ট পেছনে ছিলো তুরিনের বুড়িরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার জন্য শীর্ষ চারে থাকা লাগে, জুভেন্তাস ছিলো চার নাম্বারে।
১৫ পয়েন্ট কাটায় এখন তাদের পয়েন্ট ২২, নেমে গিয়েছে দশম স্থানে। লিগের ম্যাচ বাকি আর ২০ টি। এর মধ্যে ফিরে এসে সেরা চারে জায়গা করে নেওয়া বেশ কঠিন কাজই হবে তাদের জন্য। যদিও শাস্তির বিপক্ষে আপিল করবে জুভেন্তাস।
এর আগে ২০০৬ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায় প্রমাণিত হওয়ায় আগের দুই মৌসুমের লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল জুভেন্তাসের, সেইসাথে তাদেরকে অবনমিত করা হয়েছিল দ্বিতীয় সারির লিগে। রেকর্ড ৩৫ বার ইতালিয়ান লিগ জেতা জুভেন্তাসের জন্য তাই শাস্তি পাওয়া নতুন কিছুই নয়।