মিডিয়াকে ব্ল্যাকআউট করলে রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে: সিইসি
মিডিয়াকে দেশ থেকে একেবারেই ব্ল্যাকআউট করে দিলে রাষ্ট্র বিনষ্ট হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল।
তিনি দেশের যে কোন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান।
রবিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন বিটে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৩ এর পরিচিতি ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
সিইসি বলেন, "মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে খুব একটা বেশি কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না। আমরা যদি মিডিয়াকে দেশ থেকে একেবারেই ব্ল্যাকআউট করে দিতে পারি, তাহলে কিন্তু ডিজাস্টার হয়ে যাবে। রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে।"
"মিডিয়া ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে। মিডিয়া সকলকে চাপে রাখে। মিডিয়ার কারণে আমরা কিন্তু চাপে থাকি। কি বলতে কি বলে ফেলি। কোনটা বলতে হবে, কোনটি গোপন রাখতে হবে। কারণ মিডিয়া তো সব প্রচার করে দেবে।…মিডিয়া আমাদের জ্ঞান, মেধা ও দায়িত্ববোধকে জাগ্রত করে।"
তিনি আরও বলেছেন, গণমাধ্যম সবসময়ই রাষ্ট্রক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাংবাদিকদের ভয়ভীতির উর্ধ্বে থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, "সামনে সাধারণ নির্বাচন আসছে। এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক কারণে, ঐতিহাসিক কারণে। সেই নির্বাচনটা ঘনিয়ে আসছে। এখানে আপনাদের ভূমিকা যদি বস্তুনিষ্ঠ হয় তাহলে সকলের মাঝে ইতিবাচক হয়। নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মিডিয়ার কারণে তারাও সচেতন থাকেন। এমনকি যারা শক্তিমান তারাও মিডিয়ার ভূমিকাকে মূল্যায়ন করেন, যদি তারা বিবেকবান হন।"
সিইসি বলেন, "আপনারা বস্তনিষ্ঠভাবে সংবাদ সংগ্রহ করবেন, পরিবেশন করবেন। আমাদের মধ্যে যদি কোনো বিচ্যুতি ঘটে এবং সেটি যদি আপনাদের দৃষ্টিতে চলে আসে, সেটি কেন প্রচার করবেন না! আমার বিচ্যুতি ঘটবে কেন? সেগুলো আপনারা প্রচার করবেন। আপনারা সেটি করেন বলেই ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য অনেকটা তৈরি হয়।"