মার্চের উপনির্বাচনে একাই ৩৩ আসনে লড়বেন ইমরান খান
আসন্ন মার্চে জাতীয় পরিষদের উপনির্বাচনে একাই ৩৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান। পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। খবর এনডিটিভির।
রোববার (২৯ জনুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে মাহমুদ কোরেশি বলেছেন, "আমরা উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ইমরান খান সব আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।"
এর আগে শুক্রবার, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ৩৩টি আসনের উপনির্বাচন আগামী ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করে। দেশটির স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ পিটিআই আইন প্রণেতাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের পরে এই আসনগুলো শূন্য হয়।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতেই পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী জাতীয় পরিষদের সমস্ত শূন্য আসনের উপনির্বাচনে দলের প্রধান ইমরান খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
গত ১৭ জানুয়ারি এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছিলেন, "তেহরিক-ই-ইনসাফ সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং ইমরান খান এই ৩৩টি আসনে তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থী হবেন।"
এদিকে মাহমুদ কোরেশি বলেছেন, ১৭ জুলাইয়ের উপনির্বাচনের সময় জনগণ পিটিআইকে সমর্থন করেছিল; দলের আশা, আগামী ১৬ মার্চের উপনির্বাচনেও জনগণ ভোট দিয়ে ইমরান খানের প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করবে।
আসন খালি হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে পাকিস্তানে। সময়মতো নির্বাচন না হলে তা সংবিধানের লঙ্ঘন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুযায়ী, মাসের শুরুতে স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ আরও ৩৫ জন পিটিআই আইনপ্রণেতার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
২০২২ সালের এপ্রিলে জাতীয় পরিষদ থেকে দলীয় প্রধান ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পর সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে পিটিআই-এর সদস্যরা গণপদত্যাগ করেছিলেন।
কিন্তু সে সময় স্পিকার মাত্র ১১ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে বলেছিলেন, বাকি সংসদ সদস্যদের যাচাইয়ের জন্য পৃথকভাবে তলব করা হবে।
এখন পর্যন্ত পিটিআইয়ের ৮০ জন সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে।