ফোনকলে বরিসকে মিসাইল হামলার হুমকি দিয়েছিলেন পুতিন
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রকাশিত ডকুমেন্টারিতে বিস্ফোরক এক তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ডকুমেন্টারিতে বরিস জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে মিসাইল ছোড়ার হুমকি দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন!
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। টানা ১১ মাসব্যাপী সে যুদ্ধ এখনো চলমান। আর এ আক্রমণের ঠিক আগমুহূর্তে তৎকালীন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ফোন দেন পুতিন। বিশ্বের দুই পরাশক্তির সরকার প্রধানের এ কথোপকথনে আগে ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের সম্ভাবনায় দীর্ঘদিন ধরেই নিজের বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন পুতিন।
তবে ফোনকলে আলাপচারিতার সময় অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না বলে পুতিনকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছিলেন বরিস। একইসাথে এ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানান তিনি।
বরিস জনসনের দাবি, ফোনালাপে পুতিনকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ঘটনা 'পুরোপুরি বিপর্যয়' ডেকে আনবে বলে তিনি সাবধান করেছিলেন। তবে বরিসের এ কথায় মোটেও কর্ণপাত করেননি পুতিন। বরং কথপকথনের এক পর্যায়ে উল্টো পুতিন বলেন, "বরিস, আমি তোমাকে আঘাত করতে চাই না। কিন্তু একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এটা করতে মাত্র এক মিনিট লাগবে!"
অবশ্য পুতিন এ আক্রমণাত্মক বক্তব্য বাস্তবায়ন করার নিয়তেই দিয়েছেন কি-না সেটা নিয়ে নিজের সংশয় প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে বরিস ডকুমেন্টারিতে বলেন, "পুতিন যে শিথিল কণ্ঠে, ছাড়া ছাড়া ভাবে কথা বলছিলেন তাতে আমার মনে হয়েছিল তিনি শুধু আমার সাথে সমঝোতা করার প্রচেষ্টা হিসেবে এ কৌশল অবলম্বন করছিলেন।"
যদিও পুতিনের এ হুমকিকে পরবর্তীতে ততটা পাত্তা দেননি বরিস। কেননা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকাকালীন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা ছাড়ার পরও তিনি বেশ কয়েকবার ইউক্রেন সফর করেছেন। এছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় তাকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাস্তায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে।
সূত্র: এনডিটিভি