সাকিবের বরিশালের আরেকটি জয়, খুলনার বিদায়
সমীকরণটা সহজ ছিল, কিন্তু কাজটা ছিল কঠিন। করো, নয়তো মরো। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না খুলনা টাইগার্সের। এমন ম্যাচে ফরচন বরিশালের বিপক্ষে তেমন লড়াই করতে পারলো না তারা। সাকিব আল হাসানের দলের বিপক্ষে হেরে সবার আগে বিপিএল থেকে বাদ পড়লো খুলনা টাইগার্স।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সকে ৩৭ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। আগের ম্যাচ দিয়েই প্লে-অফ নিশ্চিত করা সাকিবের দলের এটা সপ্তম জয়। ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে তারা। হারের বৃত্তে বন্দি থাকা খুলনা ১০ ম্যাচে মাত্র ২টি ম্যাচে জিতেছে। বাকি থাকা দুই ম্যাচে জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৮। প্লে-অফ নিশ্চিত করা তিন দলের বাইরে রংপুর রাইডার্সের ইতোমধ্যে ১০ পয়েন্ট আছে। বাকি দুই দলেরও ১০ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই দুই ম্যাচ আগেই প্লে-অফের রেস থেকে বিদায় নিতে হলো খুলনাকে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে ফরচুন বরিশাল। দলটির প্রায় সবাই রানের দেখা পেয়েছেন। ফজলে রাব্বি, ম্যাচসেরা সাকিব, ইফতিখার আহমেদদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে বিপিএলের বর্তমান রানার্স-আপরা। জবাবে শুরুতেই খেই হারানো খুলনার হয়ে অধিনায়ক শেই হোপ, ইয়াসির আলী রাব্বি, নাহিদুল ইসলামরা লড়াই করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ৮ উইকেটে তাদের ইনিংস থামে ১৫৭ রানে।
বড় লক্ষ্যে ভালো শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। শুরুর ধাক্কা অবশ্য কাটিয়ে তোলেন অ্যান্ডি বালবার্নি ও অধিনায়ক শেই হোপ। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তারা। বালবার্নির বিদায়ে ভাঙে জুটি। ফেরার আগে ১৩ বলে ১২ রান করেন আয়ারল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান।
৫ বল পর মাহমুদুল হাসান জয় থামেন রানের খাতা খোলার আগেই। আর টিকতে পারেননি শেই হোপও। খুলনার ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান ২৪ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ রান করেন। ৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে খুলনা। এখান থেকে দলের হাল ধরেন অসাধারণ ইনিংস খেরা ইয়াসির আলী রাব্বি ও নাহিদুল ইসলাম। এই জুটিতে খুলনা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে লড়াই করে।
পঞ্চম উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন এ দুজন। এ সময় নাহিদুল কেবল সঙ্গ দিয়েছেন, দারুণ সব শটে দরকে এগিয়ে নিয়ে যান ইয়াসির। নাহিদুল ২৪ বলে ২৪ রান করেন। তার বিদায়ের ৫ রান পর থামেন ইয়াসির। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন। বরিশালের করিম জানাত ৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন। খালেদ আহমেদ পান ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম ও সাকিব।
এর আগে ব্যাটিং করা বরিশালের হয়ে ৩১ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ইনিংসসেরা ৫১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ইফতিখার। এর আগে ওপেনার ফজলে মাহমুদ ২৯ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন। সাকিবও ঝড় তোলেন, ২১ বলে একটি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৬ রান করেন বিপিএলের দারুণ ছন্দে থাকা বরিশাল অধিনায়ক। এ ছাড়া ইব্রাহিম জাদরান ২৩ ও করিম জানাত ৮ বলে ১৬ রান করেন। খুলনার পল ভন মেকারান ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচায় ৩টি এবং নাহিদুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ একটি করে উইকেট পান।