যুক্তরাজ্যে শুরু হয়েছে মানবদেহে করোনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব গবেষণা অনুষদের আবিষ্কৃত একটি সম্ভাব্য টিকা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের এই পরীক্ষা সফল হলে অতি-দ্রুত তা সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে দেশটির সরকার সতর্ক করে বলেছে, আগামী বছরের আগে টিকাটির পরীক্ষানিরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। তাই এই সময় পর্যন্ত সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সকল প্রচেষ্টা চালু থাকবে।
ইংল্যান্ডের মুখ্য চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস হুইট্টি আগামী বছরের আগে কোন টিকা আবিষ্কারের সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানান।
তিনি বলেন, 'আমাদের বাস্তবসম্মত আশা রাখা উচিত। আর বাস্তবতা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর আমাদের নির্ভর করতে হবে।'
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষামূলক যে টিকা দেওয়া হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউড। খবর সিএনএনের
অক্সফোর্ড প্রফেসর এবং গবেষক দলটির শীর্ষ টিকা বিশেষজ্ঞ সারাহ গিলবার্ড টাইমস অব লন্ডনকে জানান, তার টিমের আবিষ্কৃত টিকাটি ভাইরাস মোকাবিলায় সফল হবে এ ব্যাপারে তিনি প্রায় ৮০ ভাগ নিশ্চিত। এমনটি হলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের আগেই ১০ লাখ ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা শিম্পাঞ্জির দেহে পাওয়া করোনাভাইরাসের একটি উপপ্রজাতিকে ব্যবহার করে তাদের নতুন টিকার উদ্ভাবন করেছেন। চ্যাডওক্সওয়ান (ChAdOx1 nCoV-19) নামের এই ভাইরাস মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং মৃত্যুর হুমকি সৃষ্টি করে না।
সারাহ গিলবার্ড জানান, এখন পর্যন্ত চ্যাডওক্সওয়ান ভাইরাস থেকে তৈরি করা টিকা ৩২০ জন ব্যক্তির দেহে প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। এর মাধ্যমে টিকাটি যে নিরাপদ এবং স্থিতিশীল তা প্রমাণিত হয়। তবে টিকা নেওয়ার পর মানবদেহে অস্থায়ী কিছু উপসর্গ যেমন শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যাওয়া, মাথাব্যথা বা হাতে অবশ অনুভূতি দেখা দিতে পারে।