‘স্যালুট মানবিক পুলিশ’
খালে নেমে এক কুকুর ছানাকে উদ্ধার করে প্রশংসায় ভাসছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল রাজীব কুমার রায়।
কুকুর ছানাটি পলিথিনবদ্ধ খালে দেখে ঝুঁকি নিয়ে পানিতে নেমে তিনি উদ্ধার করেছেন। ইতোমধ্যে উদ্ধার মুহুর্তের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই তার ভূয়সী প্রশংসা করছেন। তাকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় কৃষ্ণখাল থেকে ছানাটি উদ্ধার করেন সিএমপির স্পেশাল আর্মড ফোর্স (এসএএফ) সদস্য রাজীব।
জানা গেছে, লকডাউন নিশ্চিতে নগরের প্রবেশস্থল কাপ্তাই রাস্তার মাথা গোলাপের দোকান এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করছিলেন। এ সময় পাশের খালে একটি কুকুর ছানা দেখা যায়। কেউ ওই ছানাটি পলিথিন দিয়ে জড়িয়ে খালে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ সদস্য রাজীব নেমে সেটি খাল থেকে উদ্ধার করেন।
এ সময় শতাধিক মানুষ সেখানে জড়ো হয়। ছানাটি উদ্ধার করে তীরে আসার সময় সবাই করতালি দিতে থাকেন। অনেকে দৃশ্যটি ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
নগরের বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা যিকরুল হাবিব ওয়াহীদ ছবিগুলো শেয়ার করে লিখেছেন, ''মানবতা, মানবিকতা ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র। চট্টগ্রাম কাপ্তাই রোডের মোহরা গোলাপের দোকান, কৃষ্ণখালে একটি কুকুর ছানা ডুবে যাচ্ছিলো। একজন পুলিশ সদস্য দেখামাত্র পায়ের জুতো, কোমড়ে পিস্তল, পকেটে থাকা মোবাইলসহ লাফিয়ে পড়েন কুকুর ছানাটিকে বাঁচাতে! 'স্যালুট মানবিক পুলিশ'।''
সৌরভ পাল নামে একজন লিখেছেন, ''লকডাউনে পুলিশের একেকটা কাজ দেখে বিমোহিত হচ্ছি। সারাবছর এমন পুলিশিং চাই।''
কনস্টেবল রাজিব কুমার রায় বলেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথায় বিকেলে ডিউটি করছিলাম। তখন কোথা থেকে কুকুরের শব্দ আসতেছিল। খুঁজে দেখি খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে একটি মা কুকুর চেঁচামেচি করছে। পরে খালে পলিথিনবদ্ধ কুকুর ছানাটি চোখে পড়ে। এরপর পানিতে নেমে সেটি তুলে আনি। তারপর মায়ের কাছে বাচ্চাটি রাখি।
তিনি আরও বলেন, আমি শুধু একটি জীবন বাঁচিয়েছি। চোখের সামনে একটি কুকুরের জীবন যেতে দেখে সেটিকে রক্ষা করেছি। আমার মধ্যে প্রশংসা পাওয়ার বিষয়টি কাজ করেনি।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর খোন্দকার বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সম্মুকযোদ্ধা পুলিশের ত্যাগ, মানবিকতা ইতোমধ্যে জনগণ দেখেছেন। পুলিশ সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা এ সব কাজে বদলাবে।