খুলনায় চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ'র ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনায় চিকিৎসকদের ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত খুলনা জেলার সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকরা পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলবেন।
সকাল ১০টার দিকে দেখা গেছে, খুলনার সকল সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, চিকিৎসকের ওপর হামলাকারী এএসআই নাঈম ও তার সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনায় খুলনা জেলার সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের (সরকারী, বেসরকারী স্বায়ত্বশাসিত) চিকিৎসকরা পূর্ণ কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন। শুধুমাত্র মানবিক কারণে জরুরি বিভাগ খোলা রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগরীর শেখপাড়ায় অবস্থিত হক নার্সিং হোমে অপারেশন চলাকালীন হামলা করে রোগীর স্বজনেরা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত করে এবং তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
শুধু তাই নয়, তিনি একজন মুমূর্ষু রোগীর অপারেশন করছিলেন। সেখান থেকে ১ মাস আগে অপারেশন করা রোগীর জটিলতার অজুহাতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশে কর্মরত এএসআই নাঈম ও তার সঙ্গীরা তাকে জোর করে অপারেশন মাঝপথে বন্ধ করিয়ে দেয়। এসময় তার উপর পৈশাচিকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। সংরক্ষিত প্রবেশাধিকারের নিরাপদতম স্থান অপারেশন থিয়েটারও ভাঙচুর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সহকর্মী ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ্ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেবিনে শারীরিক ও মানসিক অস্বস্থিতে বেঁচে আছেন। বহুবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আমলাদের বোঝানো হয়েছে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় নিরাপত্তা বিধান করার জন্য। কখনোই কর্ণপাত করেননি কোন কর্তৃপক্ষ বরং চিকিৎসকদের উপর নেমে এসেছে নতুন নতুন খড়গ।
ডা. বাহার বলেন, নিজেকে অরক্ষিত ও অনিরাপদ রেখে চিকিৎসকরা আর কর্মস্থলে যেতে চায় না। ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর মত একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও পরোপকারী সহকারী অধ্যাপক এবং একটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের উপর এই ধরনের অত্যাচারের দৃশ্য দেখে সমস্ত চিকিৎসক সমাজ ব্যাপকভাবে সংক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে।