খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাংলাদেশের ২০৯
হতাশায় শুরু, হতাশায় শেষ। মাঝে কেবল নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের লড়াই। অনেক বল খরচায় শান্ত পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেললেও মাহমুদউল্লাহ অবশ্য তা পারেননি। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা উইকেটে থিতু হয়েও হতাশ করেছেন। শেষ দিকে বোলার হয়েও তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলামরা বরং ভালো করেছেন। তবে মোটা দাগে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসজুড়ে ভাঙনের সুর বেজে গেছে, তাই সংগ্রহ থেকে গেছে সামান্যই।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে ৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের যে বোলারই বোলিং করেছেন, তার বিপক্ষেই ধুঁকতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
শান্ত ৮২ বলে ৬টি চারে ইনিংস সেরা ৫৮ রান করলেও স্বস্তিতে ছিলেন না। ১৬তম ম্যাচে এসে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয়েছে। মাহমুদউল্লাহ ৪৮ বলে ৩টি চারে ৩১ রান করেন। শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ জুটি থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ রান পায় বাংলাদেশ।
সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামা অধিনায়ক তামিম ৩২ বলে ৪টি চারে ২৩ রান করেন। সবার মতো ধীর-স্থির ব্যাটিং করে সফল হতে পারেননি মুশফিক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে একটি ছক্কায় ১৬ রান করেন।
২০০ রানও পেরোনো হতো না তামিম ইকবালের দলের। শেষ দিকে দুই বোলার তাসকিন ও তাইজুলের কল্যাণে সেটা সম্ভব হয়েছে। তাসকিন ১৮ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৪ রান করেন। ১৩ বলে একটি চারে ১০ রান করেন তাইজুল।
বাংলাদেশের পাঁচজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। লিটন কুমার দাস ৭, সাকিব আল হাসান ৮, আফিফ হোসেন ধ্রুব ৯, মেহেদী হাসান মিরাজ ৭ ও মুস্তাফিজুর রহমান শূন্য রান করেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাংলাদেশকে কোণঠাসা করে রাখা ইংলিশ বোলারদের মধৌ কেবল একজন পাঁচের বেশি ইকোনমিতে রান দেন, বাকিরা সবাই আরও কিপ্টে বোলিং করেন।
১০ ওভারে ৩৭ রানে ২ উইকেট নেন তারকা পেসার জফরা আর্চার। আরেক পেসার মার্ক উড ৮ ওভারে ৩৪ রানে নেন ২ উইকেট। ডানহাতি অফ স্পিনার মঈন আলী ৭.২ ওভারে ৩৫ রানে ২ উইকেট পান। লেগ স্পিনার আদিল রশিদের শিকারও ২ উইকেট, ৯ ওভারে তার খরচা ৪৭ রান। এক উইকেট পাওয়া ক্রিস ওকস সবচেয়ে কম রান দেন, ৮ ওভারে তার খরচা মাত্র ২৮। অভিষিক্ত উইল জ্যাকস ৫ ওভারে ১৮ রানে পান একটি উইকেট।