খাতুনগঞ্জে পান সুপারির গোডাউনে মিলল ১২ টন আদা
দেশের বৃহত্তম ভোগ্য পণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে আড়তদারদের জিম্মি করে আদার দাম বড়িয়েছে আজাদ সিন্ডিকেট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। আমদানিকৃত মূল্যের প্রায় ৪ গুণ বেশি দামে আদা বিক্রিতে বাধ্য করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। জেলা প্রশাসনের অভিযানে উঠে আসে এই চিত্র।
সোমবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিেস্ট্রট তৌহিদুল ইসলাম খাতুনগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানকালে দেখা যায়, খাতুনগঞ্জের শাহ আমানত ট্রেডিং ৮৮ বস্তা ভর্তি ১২ টন আদা পশ্ববর্তী একটি পানসুপারির আড়তে মজুদ করে রাখে। মিয়ানমার থেকে গত ২১ এপ্রিল আমদানি করা ৮৫ টাকা দামের আদা এক সপ্তাহ ধরে মজুদকারী প্রতিষ্ঠানটি ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি করেছে। আদা মজুদদারি এবং অনায্য দামে বিক্রির দায়ে শাহ আমানত ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত খাতুনগঞ্জের একতা ট্রেডার্সের মালিককে ৫০ হাজার, শাহাদাত ট্রেডার্সের মালিককে ৫০ হাজার এবং মাহবুব খান সাওদাগরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, খাতুনগঞ্জের আমির মার্কেটস্থ আমদানিকারক আজাদ সিন্ডিকেট কারসাজি করে আদার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন আড়তে তার দেওয়া নির্ধারিত দামে বিক্রির জন্য বাধ্য করেছে। বিভিন্ন আড়তদার আমাদের কাছে এই বিষয়টি স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, পেপারলেস ব্ল্যাক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আদার দাম বাড়িয়েছে আজাদ সিন্ডিকেট। অভিযানকালে ওই প্রতিষ্ঠানের অফিসে যাওয়ার আগেই তারা সটকে পড়ে। আজাদ সিন্ডিকেটের লাইসেন্স বতিল করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। সিন্ডিকেট এবং কারসাজি করে ভোগ্য পণ্যের মুল্য বৃদ্ধির সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের এ বিশেষ অভিযানে সেনাবাহিনীর টিম এবং সিএমপি সদস্যগণরাও ছিলেন। সেনাবাহিনীর টিম লিডার হিসেবে অভিযানে ছিলেন ক্যাপ্টেন কাফিউন নাহার।