রমজানেও গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি থাকবে
গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও, দেশে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের (এমএমসিএফডি) ঘাটতি থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) জ্বালানি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা প্রায় ১০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি, যা সংযুক্ত নেটওয়ার্কের অধীনে ৪০০০ এমএমসিএফডির চাহিদার বিপরীতে সামগ্রিক সরবরাহকে ৩০০০ এমএমসিএফডি বাড়াবে।'
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে কাতার ও ওমান থেকে গ্যাস আমদানির পাশাপাশি সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ১২টি এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এ পরিকল্পনার আওতায় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একটি বা দুটি কার্গো আমদানি করবে পেট্রোবাংলা।
'আমরা আশা করি, এই আমদানি একটি বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।'
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম কমছে এটা আশাপ্রদ ঘটনা। কারণ, এর আগে আন্তর্জাতিক খোলাবাজারে গ্যাসের দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার কারণেই গত বছরের জুলাইয়ে আমদানি স্থগিত করে সরকার। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আবারো এলএনজি আমদানি আবার শুরু করে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরও জানান, এলএনজি আমদানি বাড়াতে কাতার ও ওমানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিদ্যমান, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে এই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতার এবং ওমানের থেকে মোট ৫৬টি এলএনজি কার্গো আমদানি করা হবে।
তবে খোলাবাজার থেকে কী দামে এবং কতটুকু গ্যাস আমদানি করা যায়- সে সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
জনেন্দ্র নাথ বলেন, ২০৩০ সালে দেশে গ্যাসের চাহিদা ৫৬০০ এমএমসিএফডি-তে পৌঁছবে, এরমধ্যেই বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ৪৬টি কূপ খনন করার পরিকল্পনা আছে সরকারের।