সমালোচনার মুখে হলের খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে ফিরলো চবি কর্তৃপক্ষ
তীব্র সমালোচনা ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোর ডাইনিংয়ের খাবারের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলো কর্তৃপক্ষ।
এর আগে প্রভোস্ট কমিটির নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে হলের খাবারের দাম এক লাফে ১০ টাকা বৃদ্ধি করে ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা এবং সেহরি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা করা হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষার্থীরাও প্রশাসনের প্রজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে হলের খাবার বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
এই অবস্থায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় খাবারের মূল্য সমন্বয় করতে বৈঠকে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রভোস্টবৃন্দ। সভায় হলের খাবারের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম টিবিএসকে বলেন, "গত ছয় মাস ধরেই ডাইনিং ম্যানেজাররা বাজার দরের সঙ্গে খাবারের দাম সমন্বয়ের কথা বলছিলেন। দাম বৃদ্ধির ফলে কিন্তু ডাইনিংয়ে মুরগি বন্ধ রাখা হয়েছে। ২৫ টাকায় মুরগী দিতে পারছে না। আমরা চিন্তা করলাম, খাবারের মান কিছুটা বৃদ্ধি করি। বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে ১০ টাকা বাড়ানো হলো। এখন শিক্ষার্থীরা যেহেতু চাচ্ছেন না, তাই সিদ্ধান্তটি স্থগিত করা হলো। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাদের মতামত নেওয়া হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"