বিএম ডিপোর আগুনে ২১৩ কোটি টাকার রপ্তানি পণ্যের ক্ষতি: তদন্ত প্রতিবেদন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২১৩ কোটি টাকার রপ্তানি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে কাস্টম হাউস গঠিত তদন্ত কমিটি।
কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও অক্ষত- এই তিন ভাগে রপ্তানি পণ্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে।
কাস্টমসের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, "বিএম কনটেইনার ডিপোতে যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাস্টমসের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছিল। কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা করে খসড়া প্রতিবেদনে ২১৩ কোটি টাকা রপ্তানি মূল্যের ক্ষতি নির্ধারণ করেছে।"
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ পরিমাণ এর থেকে কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে বলে জানান তিনি।
এ তদন্ত প্রতিবেদনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকরা ইন্স্যুরেন্সসহ বিভিন্ন খাতে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন বলেও জানান তিনি।
কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার বিপ্লব বলেন, "বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে যে রপ্তানি কার্গোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমরা সরেজমিন তদন্ত করে তার একটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করেছি। প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকার রপ্তানি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।"
গত বছরের ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৫১ জনের মৃত্যুর খবর প্রশাসন নিশ্চিত করে, যাদের মধ্যে আটজনের পরিচয় মেলেনি। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১০৭ জন।
হতাহতদের অধিকাংশই ফায়ার সার্ভিসকর্মী, ডিপো শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের চালক, হেলপার ও পুলিশ সদস্য।
আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত বছরের ৩০ আগস্ট আংশিকভাবে খালি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং শুরু হয় এই ডিপোতে।