ঈদ ও ব্যাংক পর্যায়ে ভালো দরের সুবাদে মার্চে সাত মাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেল পাকিস্তান
গভীর অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তান বিগত মাস মার্চে ২৫০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে। গত সাত মাসের মধ্যে এটাই রেমিট্যান্স অর্জনের সর্বোচ্চ ঘটনা। রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রবাসী পাকিস্তানীরা বেশি অর্থ দেশে পাঠান, তার সাথে মুদ্রাবাজারের কিছু ঘটনাও আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হয়েছে। জিও টিভি অবলম্বনে
পাকিস্তানের খোলা মুদ্রাবাজার (কার্ব মার্কেট) এবং আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা; বিশেষত মার্কিন ডলারের বিনিময় দরের যে পার্থক্য ছিল তা কমে এসেছে। এতে করে, ব্যাংকের মাধ্যমে বা বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ পেয়েছেন অনাবাসী পাকিস্তানীরা।
পাকিস্তান-কুয়েত ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির গবেষণা প্রধান সামিউল্লাহ তারিক একে একটি 'শুভ লক্ষণ' বলে উল্লেখ করে বলেন, (মার্চে) কার্ব ও আন্তঃব্যাংক বাজারদরের মধ্যে ব্যবধান ছিল ন্যূনতম। 'গত সাত মাসের মধ্যে মার্চের রেমিট্যান্স সর্বোচ্চ; তবে এবছরের শুরুর দিকেই রমজান চলে আসায় প্রবাসী আয় প্রবাহ বেড়েছে'।
মার্চে আগের মাসের তুলনায় পাকিস্তানী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৭ শতাংশ। তবে ২০২২ সালের মার্চের তুলনায় এটা ১১ শতাংশ কম বলে সোমবার (১০ এপ্রিল) জানিয়েছে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি)।
পাকিস্তানের একটি সিকিউরিটি ব্রোকারেজ আরিফ হাবিব লিমিটেডের গবেষণা প্রধান তাহির আব্বাস জিও টিভিকে বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই পাকিস্তানে ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ উচ্চ হয়। সম্পন্নদের যাকাত, ফেতরা প্রদানসহ দরিদ্র প্রতিবেশী, স্বজনদের অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার পারিবারিক প্রতিশ্রুতিও থাকে। তাই প্রবাসীরা একটু বেশি অর্থ পাঠান রমজানে। তবে হুন্ডির মাধ্যমে বা অবৈধ চ্যানেলে অনেক আয় আসায় তাতে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা বঞ্চিত হয়। তবে এবার আন্তঃব্যাংক বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার ভালো দর থাকার ঘটনাও প্রবাসীদের উৎসাহিত করেছে।
'অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ উচ্চ থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ চলতি অর্থবছরের প্রায় শেষদিকেই আসছে আরেকটি ঈদ (ঈদুল আজহা)' ব্যাখ্যা করেন তিনি।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রণালয় রমজান ও ঈদ মওসুমের কারণে 'রেমিট্যান্স প্রবাহে আরো উন্নতির' প্রক্ষেপণ জানিয়েছে।