শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: বিএনপির সাবেক এমপিসহ চারজনের যাবজ্জীবন, ৪৪ জনের কারাদণ্ড
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় রায় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল।
রায়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চু, আরিফুর রহমান ও বিএনপি নেতা রিপনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৫০ আসামীর মধ্যে বাকি ৪৪ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুইজন আসামী মারা যাওয়ায় তাদের খালাস দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে নয়জন পলাতক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে মামলার রায় ঘোষণার পর আসামীদের প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় বিক্ষোভ করে স্লোগান দেয় ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে জেলা ছাত্রদল সেক্রেটারি মমতাজুল ইসলাম চন্দনসহ আট নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
সাতক্ষীরা আদালতের পিপি আব্দুল লতিফ জানান, এ রায়ের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার মানুষ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর এ রায় কার্যকর হওয়ায় সাতক্ষীরার মানুষ খুশি।
তবে রায় ঘোষণাকালে আসামী পক্ষের কোন আইনজীবীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালায়।
হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এরপর গত বছরের ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছিল।