খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ১,৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩
খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এক হাজার ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুলনা সদর থানার এসআই খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, "শুক্রবার (১৯ মে) রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩ জনকে।"
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, খালিশপুর থানার আলমনগর এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে সোহেল রানা (২০), ২৬নং ওয়ার্ড ওয়ার্লেস ক্রস রোড এলাকার আহমেদ হোসেন গাজীর ছেলে গাজী সালাউদ্দীন (৪২), রুপসা থানার দেয়াড়া এলাকার মোঃ আজিজুর রহমানের ছেলে মোঃ আতাউর রহমান (৪৮), আইচগাতী এলাকার মৃত মখলেছুর রহমানের ছেলে মোঃ সেকেন্দার শেখ (৬০), বটিয়াঘাটা থানার বাড়োয়াড়িয়া এলাকার মৃত আলতাফ মোল্যার ছেলে মোঃ শাইখুল মোল্যা (৩৪), লবনচরা থানার হরিনটানা এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মোঃ ওয়াহিদ শেখ (৩২), দাকোপ থানার খেজুরিয়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ রাসেল (২৪), সোনাডাঙ্গা থানার বানরগাতী ইসলাম কমিশনার মোড় এলাকার আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে রাব্বি চৌধুরী (২৯), দাকোপ থানার গুনারী এলাকার আঃ সালাম গাজীর ছেলে মাহবুব গাজী (২৬), রুপসা থানার আইচগাতী এলাকার আব্দুল আজিম উদ্দিন শেখের ছেলে মনিরুজ্জামান মামুন (৪২), সোনাডাঙ্গা থানার ট্রাক স্ট্যান্ড, আব্দুল গনি সড়ক এলাকার আব্দুল জলিল শেখের ছেলে মোঃ রাজু শেখ (৪১), নগরীর নতুন বাজার ওয়াপদা ভেরীবাধ রোড এলাকার মৃত মোঃ আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ আলিফ মিলন (৩১) এবং নতুন বাজার খ্রিস্টানগলি এলাকার মোঃ আউয়ালের ছেলে মোঃ রাসেল (২৭)।
শুক্রবার বিকেলে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হন। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, "সমাবেশে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বক্তব্য দিতে দেয়নি। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না।"