গরুর মাংসের চেয়ে কেন মহিষের মাংসের দাম বেশি?
অবশেষে মহিষের দুর্দিন ফুরিয়েছে বলতে হয়। অন্তত আগের মতো গরুর নামে বিকোতে হচ্ছে না আর। বরং গরুর চেয়ে এখন মহিষের মাংসের দাম বেশি। অথচ বছরকয় আগেও গরুর সঙ্গে মহিষের মাংস মিলিয়ে দিত অসাধু ব্যবসায়ীরা। লোকে বলত, দোকানে রাতের বেলায় ঢোকা মহিষগুলো সকালে গরু হয়ে বের হয়। তাতে লাভ হতো বেশি কারণ তখন মহিষের মাংসের দাম ছিল কম, প্রায় অর্ধেক। কম দামে যারা মাংস খেতে চাইতেন তারা সরাসরি খুচরা ব্যবসায়ীদের (কসাই) বলতেও পারতেন না যে মহিষের গোশত দেন। তারা কোড নেম বা ছদ্ম নাম ব্যবহার করতেন। বলতেন, 'কালা গরুর মাংস আছে?'
মিরপুর ১১ নম্বর বাজার
আলম আশরাফীর বাবা মজনু আশরাফী ৪৫ বছর ধরে মাংস বিক্রি করেন। গোড়ার দিকে মুসলিম বাজারের কাছে ছিল দোকান। তখন তিনি কর্মচারী। মাটিতে চাটাই বিছিয়ে সন্ধ্যার পর কুপি জ্বালিয়ে মাংস বিক্রি করতেন। তখন এমনটাই ছিল রেওয়াজ। মজনু তিন ওস্তাদের কাছে দীক্ষা নিয়েছেন। তিন জনই এখন বিগত। তাদের একজন অনেক আগেই পাকিস্তান চলে গিয়েছিলেন।
চামড়া কেটে আলাদা করার কাজ, গর্দান, সামনের রান বা সিনা আলাদা করা আর দোকানদারি- এই তিনটি শিখতে হয় একজন ব্যবসায়ীর। মজনু যখন প্রথম কাজে লাগেন তখন গরুর মাংসের কেজি ছিল ২০-২২ টাকা। বছর বছর হয়তো ২-৩ টাকা করে বাড়ত। আরো পরের দিকে ১০-১২ টাকা করে বেড়েছে। ২০০০ সালে গরুর মাংসের কেজি ছিল ১০০ টাকার মতো। ২০০২ সাল থেকে কোনো কোনো বছর ৫০ টাকাও বেড়েছে। আর গত ডিসেম্বর থেকে এই মে মাস পর্যন্ত ছয় মাসে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে।
এখন দোকানও হয়েছে অনেক। কারণ কর্মচারীরা মহাজন বনে গেছেন। অথচ ক্রেতার সংখ্যা সেই হারে বাড়েনি। মাংস কেনার ক্ষমতা এখন বেশি মানুষের নেইও। মজনু বলছিলেন, "আমরা গরুর মাংস পাইকারি দোকান থেকে ৭২০ টাকা কেজিতে কিনে এনে ৭৮০ টাকায় বিক্রি করলে দোকান ভাড়া, কর্মচারির বেতন দিয়ে টিকি কী করে? তার ওপর আমি পুরান আমলের মানুষ, এক কেজিতে দেড়শ গ্রাম চর্বি ঢুকিয়ে দিতে পারি না। আলম খুব রাগারাগি করে, কিন্তু আমি তো পারি না।"
মজনু আশরাফীর কাছে জানতে চাইলাম, গবাদি পশুর মাংসের দাম কেন বাড়ছে দিন দিন?
তিনি উত্তর দিলেন, "একটা সহজ কারণ বলি, আগে ভুষি (চাল ও গম থেকে হয়) কিনতাম ৫-৬ টাকা কেজি, এখন তা ৬০ টাকা কেজি।"
মহিষের মাংস আগে কেমন চলত?
মজনু: মহিষের মাংস মানুষ পছন্দই করত না আগে। লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি করত নইলে গছিয়ে দিত কসাইরা।
এখন তাহলে পরিস্থিতি বদলালো কিভাবে?
মজনু: মহিষের মাংস রোগহীন। কোনো রোগ নাই এ মাংসে। হাড্ডি কম মাংস বেশি। মানুষ এটা জানছে অল্পদিন হয়।
চাহিদা যেহেতু বেড়েছে, মহিষের যোগানও কি বেড়েছে?
মজনু: না, আমদানি তো বন্ধ। পুরা মিরপুরে দুই চার জায়গায় মহিষ পাবেন। ওই কালশী, বড়বাজারের (মিরপুর ১ এর কাছে) কথা আমি জানি।
আমাদের দেশে মহিষ আছে কেমন?
মজনু: দেশে মহিষ বেশি নাই। যা আছে তা দিয়ে চাহিদা পুরণ হওয়া সম্ভব নয়। গাবতলী হাটে গিয়ে দ্যাখেন, কয়টা মহিষ ওঠে?
১১ নম্বর বাজারেরই পুরানো কসাই ইলিয়াস আলীও বললেন, মহিষের মাংসে রোগ নেই। হার্টের রোগীও মহিষের মাংস খেতে পারে।
কেবল মাংস নয়, মহিষের দুধও ভালো
মহিষের কেবল মাংস নয় দুধও অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কষি সংস্থা (এফএও) তাদের গবেষণায় এ ফল পেয়েছে। মহিষের দুধ ঘন হওয়ায় এটি মিষ্টি ও দইয়ের জন্য কার্যকরী আর সংরক্ষণও করা যায় দীর্ঘ সময় ধরে। আগে যখন ভোলার লালমোহন থেকে লঞ্চযাত্রা ছিল দীর্ঘ, দেড় বা দুই দিনের পথ, তখন আমাদের স্বজনেরা ঢাকায় যে দই নিয়ে আসত তা পরের ১-২ দিনও টাটকা থাকতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ফুড কম্পোজিশন টেবিল সূত্রে ল্যাব এইড হাসপাতালের পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম জানাচ্ছেন, "প্রতি ১০০ গ্রাম ধরে হিসাব করলে গরুর মাংসে পাওয়া যায় ২০৭ কিলোক্যালরি যেখানে মহিষের মাংসে ৯৫ কিলোক্যালরি। প্রোটিন গরুর মাংসে ১৯.৭ গ্রাম, মহিষের মাংসে কিছু কম। সবচেয়ে বড় ফারাক ফ্যাট বা চর্বিতে, যেখানে গরুর মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১৪.২ সেখানে মহিষের মাংসে মোটে ১.৯। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন দুটি মাংসের বেলাতে প্রায় একই। ভিটামিন এ আবার গরুর মাংসে বেশি। তবে সামগ্রিক বিবেচনায় মহিষের মাংস গরুর তুলনায় স্বাস্থ্যকর।"
এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসতে সময় লেগেছে বেশি। আর এসব তথ্য ছড়িয়েছে ধীরে ধীরে, বিশেষ করে অনলাইন শপগুলো মহিষের মাংসের ব্র্যান্ডিং শুরু করার পর। স্বপ্ন আর আগোরার মতো সুপারমার্কেটগুলোও মহিষের মাংস রাখা শুরু করে। নামী প্রতিষ্ঠানগুলো যখন মহিষের ব্র্যান্ডিং করে তখন মানুষের আস্থা বাড়তে থাকে, সেসঙ্গে চাহিদাও।
কালশীর নাভানা ২ নম্বর গেটের মদিনা বিজনেস সেন্টার মহিষের মাংস বিক্রি করে ঘোষণা দিয়েই। তাদের লাল সাইনবোর্ডের ওপর সাদা অক্ষরে লেখা, 'এখানে মহিষের মাংস বিক্রি হয়।'
দোকানটিতে মহিষের মাংস বিক্রি হয় প্রতিকেজি ৮০০ টাকা; যেখানে গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭৫০ টাকায়।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মোর্শেদ কাদের জানান, বর্তমানে বর্তমানে হাড়সহ মহিষের মাংস কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা এবং হাড়ছাড়া মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে বিভিন্ন সুপারস্টোরে যে ফ্রোজেন মহিষের মাংস বিক্রি হয়, সেটি এই প্রতিবেদনে বিবেচনায় আনা হয়নি। ফ্রোজেন মহিষের মাংস তুলনামূলকভাবে কম দামে (৬২০ টাকার মতো) পাওয়া যায়। তবে সেক্ষেত্রে ফ্রোজেন গরুর মাংসের দামও বেশ কম। আমারফুডস ডটকম নামের একটি অনলাইন শপে প্রতি কেজি ফ্রোজেন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকায়।
মদিনা বিজনেস সেন্টারের এক কর্মী জানান, "প্রতিদিন আমরা ৫ থেকে ৬ মণ মাংস বিক্রি করি। কোনো কোনো শুক্রবারে দুটি মহিষও জবাই করি। গাবতলীর হাট থেকে মহিষ কিনে আনি বেশিরভাগ সময়। মহিষের চাহিদা বাড়ছে দিনে দিনেই। গাবতলী হাটে বেশি মহিষ আসে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে। তবে এখন আমদানি কমে গেছে। বাইরে (বিদেশ) থেকে মহিষ আসা বলতে গেলে বন্ধ। আমাদের দেশে তো মহিষ বেশি নেই। আমদানির ওপরই ভরসা।"
এছাড়া, ডিআইটি-বাড্ডা এলাকায় প্রতি শুক্রবার বিক্রি করা হয় মহিষের মাংস। এমনকি এই এলাকায় সময়মতো লাইন না ধরলে মহিষের মাংস কেনাটাও দুষ্কর হয়ে পড়ে।
ফিডের দাম বেশি, সাথে পরিচর্যা ব্যয়ও
গেল ৮-১০ বছরে দেশে গরু প্রজনন খামার গড়ে উঠেছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কিন্তু মহিষ প্রজনন খামার হাতে গোনা। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরানো বাগেরহাটের মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামার। আশি একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ খামার তিন যুগ পুরানো। বছরকয় আগে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরেও গড়ে তোলা হয়েছে একটি কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র।
মহিষের মাংসসহ হিমায়িত মাংস আমদানি নীতি তৈরি হওয়ার আগের কিছু চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে বাংলাদেশ মিট ইম্পোর্টাস অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। ২০১৬ সালে মাত্র ২০ টন মহিষের মাংস বিক্রি হয়েছিল। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় দুই হাজার টনে। পরের বছরই সংখ্যাটি পৌছায় পাঁচ হাজার টনে।
সংগঠনের সভাপতি শামীম আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "২০২১ সালে মাংস আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কর আরোপ করা হলো। ২০২২ সালে বলা হলো, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া মাংস আমদানি করা যাবে না। খামারিরা মামলাও করল। প্রায় সকল পক্ষই আমদানির বিপক্ষে। এতে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলো সাধারণ মানুষ।"
"মাংসের দাম দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এতো বাড়ছে যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই বলছি সমস্যাটা হলো সাধারণ মানুষেরই। বছরে জনপ্রতি মাত্র সাড়ে চার কেজি মাংস পাওয়ার সুযোগ আছে আমাদের দেশে, যেটা হওয়ার কথা ৫০ কেজি। গবাদিপশুর দাম কমার সুযোগও কম; কারণ ফিডের দাম বেশি। পরিচর্যা ব্যয়ও বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে মহিষের দাম বেড়েছে, চাহিদাও বেড়েছে অথচ উৎপাদন এক জায়গাতেই আটকে আছে। কারণ সামগ্রিকভাবে একে লাভজনক ব্যবসা বলার সময় এখনো আসেনি," বলেন তিনি।
মহিষ চরে চরাঞ্চলে
সিরাজগঞ্জে যমুনার চর, লক্ষ্মীপুর ও ভোলার মেঘনার চর মহিষ চরানোর জন্য বিখ্যাত। বছরের প্রায় ৮ মাসই চরে কাটায় মহিষদল। ভোলায় যেমন ৭০টি চরের মধ্যে মহিষ চরার উপযোগী চর ৪০টির মতো। লাখ খানেক মহিষ চরে চরগুলোয়। মহাজনের পক্ষ থেকে প্রতিটি পালের (১৫-২০টি) জন্য রাখাল আর ঘোষাল নিযুক্ত থাকে।
একটি মহিষ দিনে ৫-৭ কেজি দুধ দেয়। এই দুধ বিক্রি হয় ৫০- ৬০ টাকা কেজিতে। মহিষ বছরে ১টি করে বাচ্চা প্রসব করে। দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে মহিষের কাঁচা দুধের টক দই খুব জনপ্রিয়। বলা চলে, এ দই ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান হয় না। দৈনন্দিন আতিথেয়তাও এ দইয়ের চল আছে। লক্ষ্মীপুর জেলায় দিনে ১০ টনের বেশি মহিষা দই উৎপাদিত হয়। প্রতি কেজি দইয়ের দাম ধরা হয় ১২০-১৫০ টাকা।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি আরো জানিয়েছেন, এখন লক্ষ্মীপুরে মহিষের সংখ্যা কিছু কমে গেছে, বিশেষ করে পুরুষ মহিষের সংখ্যা। চাষীরা বেশি নজর দিচ্ছেন স্ত্রী মহিষের প্রতি, যেগুলো থেকে দুধ পাওয়া যায়। তবে এখানে মহিষের মাংসের দাম গরুর চেয়ে কম। লক্ষ্মীপুর থেকে মহিষ বেশি সরবরাহ করা হয় চট্টগ্রামে।
কেন বেড়েছে মহিষের মাংসের দাম?
যদিও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহিষ উন্নয়ন প্রকল্প আছে, তবু মহিষের সংখ্যা এক যুগ ধরেই ১৫ লাখে আটকে আছে। পুরনো পদ্ধতিতে লালন-পালন এর অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আশির দশকে ৪২ লাখ মহিষ ছিল আমাদের দেশে, সংখ্যাটি এতদিনে কোটিতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। অথচ রথ চলছে উল্টোপথে, ২০১০ সালে সংখ্যাটি নেমে আসে প্রায় ১৫ লাখে যার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি এই ১২-১৩ বছরেও। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে মহিষের মাংসের চাহিদা বেড়েছে অনেকগুণ।
মোদ্দাকথা, মহিষের মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ তিনটি: চাহিদা বৃদ্ধি, দেশীয় উৎপাদন স্থির থাকা এবং আমদানি হ্রাস পাওয়া।
এক বছর আগেও দেশের বাজারে আমদানিকৃত হিমায়িত মহিষের মাংস পাওয়া যেত। ২০২২ সালের শুরুতে মহিষের মাংস কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় পাওয়া যেত।
কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের ২০২২ সালের আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, গরু, ছাগল, মুরগীর মাংস ও মানুষের খাওয়ার উপযোগী অন্যান্য পশুর মাংস আমদানির ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে। এই আদেশ জারির পর প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ফ্রোজেন মিট আমদানির অনুমতি দিচ্ছে না।
এর ফলে ফ্রোজেন মহিষের মাংস আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণেও বাজারে দেশীয় মহিষের মাংসের দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে মাংস ব্যবসায়ীরা।
পাশাপাশি মহিষের মাংসের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়াও মূল্যবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
মহিষের মাংসের চাহিদা বাড়ার কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ অফিসের পরিচালক ডা. এ কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, 'গরুর মাংসের তুলনায় মহিষের মাংসে চর্বি ৫০ শতাংশ কম থাকে। এ কারণে মহিষের মাংসে গরুর মাংসের তুলনায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম। মহিষের মাংসে হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকার বিষয়টি আমরা ভোক্তাদের মাঝে প্রমোট করছি। ফলে মানুষের মধ্যে খাদ্যাভ্যাস এবং রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। এ কারণে মহিষের মাংসের চাহিদা আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। অনেক জায়গায় মহিষের মাংসের দাম গরুর মাংসের চেয়েও বেশি।'
- তথ্য সহায়তা: সানা উল্লাহ সানু, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি