মানি চেঞ্জারদের সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে হবে: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশের বাজারে বিদেশি নগদ মুদ্রা লেনদেন করে, এমন সবগুলো মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিকে খাতটির প্রতিনিধিত্বকারী তাদের সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সদস্য হতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার ইস্যু করে দেশের সব অনুমোদিত ডিলার ও মানি চেঞ্জারদের এ কথা জানায়।
বাংলাদেশে কার্যক্রম চালানো মানি চেঞ্জারদের ৩০ জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা বিভিন্ন বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করি এবং বিভিন্ন বিষয়ে নতুন নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
'সব প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় থাকলে একযোগে সবাইকে নির্দেশনাগুলো সহজে প্রদান করা যায়। তাই এ সার্কুলার দেওয়া হয়েছে।'
নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সদস্য হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যদি তারা এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সদস্য না হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিভিন্ন কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে নবায়ন করতে হবে তাদের। সে সময় যারা সদস্য হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
২০২১ সালের এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হওয়ায় প্রথম খোলাবাজারে ১০০ টাকায় ডলার বিক্রি হয়। সেই সময়ে একাধিক মানি চেঞ্জার অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একাধিক অভিযান চালায়।
অভিযানে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে ডলার কেনাবেচায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শোকজ করা হয় এবং ৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়।
বর্তমানে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ১০৮ টাকায়। তবে খেলাবাজারে ডলার ১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।