ঈদযাত্রা: দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তির পর বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ফাঁকা
যানবাহনের চাপ কমায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। চলাচল করতে দেখা গেছে সীমিত সংখ্যক যানবাহন। আজ বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে মহাসড়কের রাবনা, রসুলপুর, পৌলি, এলেঙ্গা, হাতিয়া ও সল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোন যানজট চোখে পড়েনি।
তবে আজ ভোরে সেতুর ওপরে দুর্ঘটনা এবং গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে মহাসড়কের ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষত, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্লা পর্যন্ত যানজটের ব্যাপকতা ছিল বেশি।
পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে দফায় দফায় টোল আদায় বন্ধ, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও চালকদের বেপরোয়া গাড়ির চালানোর কারণে। এতে ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগে পড়ে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজট কমতে থাকে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, সেতুর ওপর ও মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণে যানজট শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে চাপ কমতে থাকে। বর্তমানে মহাসড়কে যানবাহন নেই বললেই চলে।
এদিকে ২৬ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার হয়েছে এবারই। গত ২৪ ঘন্টায় ৫৫ হাজার ৪৮৮টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা।
এর আগে ২০২১ সালের ১৩ মে, ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৭৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়। আর এতে টোল আদায় হয় দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ২৪০ টাকা।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে ১৫-২০ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।