ফ্রান্সে দাঙ্গা: পঞ্চম দিনেও পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ
পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী কিশোর নাহেলের মৃত্যুর ঘটনায় টানা পঞ্চম দিনের মতো দাঙ্গা চলছে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে। এরমধ্যে শনিবার (১ জুলাই) রাতে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সবচেয়ে বড় দাঙ্গা হয়েছে মর্সেই শহরে। খবর বিবিসির।
ভারী নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরেও বিক্ষোভ থামছে না ফ্রান্সে। শনিবার দক্ষিণের শহর মার্সেইতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় সেখান থেকে ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে, রাজধানী প্যারিসে পুলিশি নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা খুব একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি বলে মনে করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও গতরাতে প্যারিস থেকে ১২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া, রাত ৯টার পর শহরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এক টুইট বার্তায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডার্মানিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের 'সংকল্পবদ্ধ পদক্ষেপ' এর জন্য প্রশংসা করেন বলেন, তাদের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণেই অন্যান্য দিনের তুলনায় শান্ত একটি রাত পার করেছে প্যারিস।
এর আগে, শনিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারাদেশে প্রায় ৪৫,০০০ পুলিশ মোতায়েন করে ফরাসি সরকার।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ৪৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে, শুক্রবার রাতে অন্তত ১,৩০০ জন এবং বৃহস্পতিবার ৯০০ এরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া, গতরাতে লিয়ন শহর থেকেও ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিস এবং স্ট্রাসবার্গেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, ১৭ বছর বয়সী নাহেলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে শনিবার। এরপরেই প্যারিসের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার প্যারিসের একটি শহরতলীর তল্লাশিচৌকিতে নাহেল নামের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। নাহেলের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগ আনে পুলিশ। উত্তর আফ্রিকার আরব বংশোদ্ভূত ওই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই বিক্ষোভে, সংঘাতে উত্তাল রয়েছে ফ্রান্স।