কাউন্সিলর থেকে মেয়র: ডেঙ্গু মোকাবিলায় ৩ স্তরে কাজ করবে ঢাকা উত্তর
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগরীতে চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণের বিরুদ্ধে তিনটি প্রশাসনিক পর্যায়ে কাজ করবে বলে বুধবার মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
'প্রথম স্তরে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি কাজ করবে। এই কমিটি নিজ নিজ এলাকায় ঘুরে এডিসের লার্ভার উৎসস্থল চিহ্নিত করবে, লার্ভা ধ্বংসে ব্যবস্থা নেবে, যেসব বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী আছে তাদের তালিকা তৈরি করবে এবং সেন্ট্রাল সার্ভারে মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য প্রবেশ করাবে,' ঢাকায় স্কুল শিক্ষার্থীদের একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাপিড অ্যাকশন টিম। টাস্কফোর্স কমিটির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই টিম সেখানে গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।'
'আর তৃতীয় স্তরে রয়েছে মেয়রের নেতৃত্ব কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং টিম।'
ঢাকা উত্তরের মেয়র মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বালিকা শাখা), লালমাটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লালমাটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমাটিয়া সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং জামিলা আয়েনুল আনন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মশার কামড় ক্ষতিকর শীর্ষক সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে আতিকুল বলেন, 'আমরা আমাদের শিশুদেরকে মশার বিরুদ্ধে সুপারহিরো করে তুলতে চাই। শিশুরা যদি মশা সম্পর্কে জানতে পারে এবং কামড়ানো থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, তাহলে আমরা মশাবাহিত রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করতে পারব।"
তিনি ঘোষণা করেন, ঢাকা উত্তর এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশন থেকে বই পৌঁছে দেওয়া হবে।
'এক লাখ বই বিতরণ শেষ হলে আমরা আরও বই ছাপিয়ে শিশুদের মাঝে বিতরণ করব।'
এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল বলেন, 'বর্ষা মৌসুম শুরুর চার মাস আগে থেকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর ও বাংলাদেশ স্কাউটসের সদস্যদের নিয়ে আমি মাঠে নেমেছি।
'বর্ষায় আমরা কার্যক্রম আরও জোরদার করেছি। মশা নিয়ে ল্যাবে গবেষণার জন্য ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কীটনাশকের কার্যকারিতা এবং মশার ঘনত্ব, মশার প্রজাতি এই ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।'
ঢাকা উত্তরে চলমান মাসব্যাপী বিশেষ মশা নির্মূল অভিযানের ১৭তম দিনে বুধবার এডিস লার্ভা পাওয়ার ১১টি মামলায় মোট তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এখন পর্যন্ত ১৯২টি মামলায় মোট এক কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।