খাদ্যবস্থাকে টেকসই, জলবায়ু সহিষ্ণু করতে আঞ্চলিক ঐকমত্য গড়ে তোলার অঙ্গীকার
বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও সবার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জন এখনও নানা সংকটে। এই সংকট থেকে উত্তরণে কৃষি ও খাদ্যবস্থাকে টেকসই, জলবায়ু সহিষ্ণু করতে আঞ্চলিক ঐকমত্য গড়ে তোলার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শুরু হলো 'এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য অধিকার এবং কৃষি খাদ্যব্যবস্থা সম্মেলন ২০২৩।'
বুধবার (২৬ জুলাই) 'খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ' সহ সংশ্লিষ্ট জাতীয়-আন্তর্জাতিক সংস্থা ও নেটওয়ার্কের সম্মিলিত আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন-এ দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থাকে আরো নতুন সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব। খাদ্য ও কৃষির সঙ্গে যুক্ত করপোরেটগুলোর প্রতি সরকারের নীতি অনেকক্ষেত্রে খাদ্য প্রাপ্যতা ও বিতরণের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করছে। তাই খাদ্য ও বিদ্যমান কৃষি খাদ্যব্যবস্থাকে আরো ন্যায়সঙ্গত, টেকসই, জলবায়ু সহিষ্ণু করে তোলার ব্যাপারে আঞ্চলিক ঐকমত্য গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ সম্মেলন পথ দেখাবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন ও খাদ্যের স্বল্পতা সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিতকরণে বড় চ্যালেঞ্জ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চলমান বৈশ্বিক সংকট।
তিনি বলেন, 'খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা এখন এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, সাম্প্রতিককালে দেশের কৃষক ও জনগণের পরিশ্রমের ফলে এবং রাষ্ট্রের সুদূরপ্রসারী নীতিমালার কারণে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। বড় ধরনের সংকট না এর ব্যত্যয় ঘটবে না।
অনুষ্ঠানে ফিলিপাইন, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।