লণ্ডভণ্ড সাতক্ষীরা উপকূল
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড- হয়ে গেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল। ইতোমধ্যে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার অর্ধশত পয়েন্টে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। জনপদে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে।
এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি, উপড়ে পড়েছে গাছপালা।
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, আশাশুনি উপজেলার উপকূলীয় প্রতানগর. ক্রীউলা. আনুলিয়া ও খাজরা ইউনিয়নের অইেশ পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে গেছে।
ইতোমধ্যে চাকলা, দিঘলারাইট, কুড়িকাউনিয়া, হিজলা. কোলা, শ্রীউলা, হাজরাকালি, দয়ারগাট, বিছট, বাহাদুরপুর গ্রামসহ আরও অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, ইউনিয়নের একটি টিনের ছাউনি ও কাঁচা ঘরবাড়ির অস্তিত্ব নেই। সবগুলো ঝড়ে ধ্বসে গেছে। টিনের ছাউনি উড়ে গেছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, পদ্মপুকুর ও রমজাননগর ইউনিয়নের উপকূলীয় বেঁড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, ইতোমধ্যে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামই প্লাবিত হয়ে যাবে। বাঁধ ভেঙ্গে জনপদে পানি প্রবেশ করছে।
কালিগজ্ঞ উপজেলার ভাড়াশিমলা এলাকার খারহাটে ইছামতি নদীর বাঁধ এবং মথুরেশপুর চিংড়া বাঁধ ভেঙে অনেক কাঁচা ঘর, গাছ গাছালি ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে তিনটি গ্রাম।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, বুধবার রাত ১২টায় ঝড়টি ঘন্টায় ৭২ কিলোমিটার গতিবেগে অতিক্রম করছে। ধীরে ধীরে গতিবেগ কমে যাবে। সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ ১৪৮ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।
এদিকে, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, সকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকার বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।