দুধ বিক্রিতে বাধা নেই মিল্ক ভিটার
পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণন পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিল তা আট সপ্তাহের জন্য শুধু মিল্ক ভিটার ক্ষেত্রে স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটা) করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে মিল্ক ভিটার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডিপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজি জিনাত হক ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ)।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “মিল্ক ভিটার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি আট সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের আদেশ মিল্ক ভিটার ক্ষেত্রে স্থগিত করেছেন। এর ফলে মিল্ক ভিটার দুধ বাজারে সরবরাহ ও বিক্রির ক্ষেত্রে বাধা রইলো না।”
এর আগে রবিবার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন প্রাপ্ত ১৪টি পাস্তুরিত দুধ কোম্পানিকে দুধ উৎপাদন, বিপণন ও সরবরাহ বন্ধে পাঁচ সপ্তাহের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এসব কোম্পানির দুধ যাতে মানুষ খাওয়ার জন্য ক্রয় করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেয়া হয়।
ওই ১৪ কোম্পানি হলো- আফতাব মিল্ক অ্যান্ড মিল্ক প্রোডাক্ট লিমিটেড (আফতাব মিল্ক), আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড (ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক), আমেরিকান ডেইরি লিমিটেড (মো), বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা), বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক অ্যান্ড ফুডস লিমিটেড (ডেইরি ফ্রেশ), ব্রাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্ট (আড়ং মিল্ক), ডেনিশ ডেইরি ফার্ম লিমিটেড (আয়রান), ইছামতি ডেইরি ফার্ম অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস (পিওরা), ইগলু ডেইরি লিমিটেড (ইগলু), প্রাণ ডেইরি লিমিটেড (প্রাণ মিল্ক), উত্তরবঙ্গ ডেইরি লিমিটেড (মিল্ক ফ্রেশ), শিলাইদহ ডেইরি (আল্ট্রা মিল্ক), পূর্ববাংলা ডেইরি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ (আরওয়া) এবং তানিয়া ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস (সেইফ)।
এদের মধ্যে মিল্ক ভিটা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানায়।
এর আগে গত ১৪ জুলাই এই ১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধের নমুনা পরীক্ষা করে চারটি ল্যাবকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
ওই আদেশের পর গত ২৩ জুলাই বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।
তবে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির প্রতিবেদন এখনও জমা দেয়া হয়নি।