কর্মসূচীর নামে বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো ‘অপতৎপরতা’ ঠেকাতে মাঠে থাকবে ১৪ দল
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা বলছেন, কর্মসূচীর নামে বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা ঠেকাতে মাঠে থাকবে ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা।
তারা বলেন, দেশের রাজনৈতিক ও উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করতে আমেরিকা ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে বিএনপি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। কিন্তু এদেশে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত থাকবে। এর বাইরে অসাংবিধানিক ধারা ও পন্থা এদেশে চলবে না।
বুধবার (২ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে "বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে" ১৪ দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন জোটের নেতারা।
১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, "বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করছে এজন্য তাদের গাত্রদাহ হয়। তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য করছে। তাদের জানিয়ে দিতে চাই, এদেশে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত থাকবে। এর বাইরে আর কোনো পদ্ধতি থাকবে না।"
তিনি আরো বলেন, "আগামী নির্বাচনে নৌকার জয় হবে। যারা বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারা ব্যাহত করতে চায়। তারা এদেশে গণতন্ত্র চায় না। তারা মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।"
ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, "আমরা দেখেছি বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে কীভাবে সারা দেশে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। কীভাবে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজ বিশ্বে মার্কিন সাম্রাজ্য পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তখন তারা বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনীতিতে প্রভাব রাখতে চাইছে।"
তিনি আরো বলেন, "বিএনপি জনগণের ওপর নয়, বিদেশি প্রভুদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চায়। দেশের রাজনৈতিক ধারাকে, উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে আমেরিকা ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের দেশ নয়, আমেরিকার নিজেদের গণতন্ত্রের দিকে তাদের নজর দিতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতি আমরা দেখছি।"
বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (এম-এল) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, "আজকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হয়েছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কথায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।"
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, "বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী চলবে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আমরা দেখেছি গত কয়েকদিন আগে বিএনপি অবস্থান কর্মসূচির নামে ঢাকা শহরে বাসে আগুন দেওয়াসহ নানা নৈরাজ্য চালিয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা আবারও দেশে নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করছে।"
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আমির হোসেন আমু। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, জাতীয় পার্টি জেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক রুবেল প্রমুখ।