আগামী বছর প্রকাশিত হবে স্টিফেন হকিংয়ের ছোটদের জন্য লেখা বই
আগামী বছরের ২৬ শে মার্চ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের বক্তব্যের আদলে ছোটদের জন্য লেখা একটি বই। ছয় বছর আগে এ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী মৃত্যুবরণ করেন।
বইটির নাম রাখা হয়েছে 'ইউ এন্ড দ্য ইউনিভার্স'। বইটি লিখেছেন হকিংয়ের কন্যা লুসি হকিং এবং বইটির ভেতরে ছবি এঁকেছেন জিন লি। পাফিন প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশ করা হবে।
বইটি পড়লে ছোটরা পৃথিবী ও মহাজগত সম্পর্কে জানতে পারবে এবং প্রশ্ন করতে পারবে বলে প্রকাশক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
বইটিতে হকিংয়ের বক্তব্যের আদলে বৈশ্বিক বড় বড় সমস্যাগুলো সমাধানে বিদ্যমান যে চ্যালেঞ্জ, সেটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একইসাথে এক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা কী এবং মানুষের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে সেটি নিয়েও আলোচনা রয়েছে।
বইটির লেখক লুসি হকিং বলেন, "মূলত 'ইউ এন্ড দ্য ইউনিভার্স' একটি কল্পনাধর্মী বিস্তৃত জ্ঞানের বই। এটি বিজ্ঞান জগতে আমার বাবার অসাধারণ সব কাজকে সকল বয়সের পাঠকদের কাছে প্রাণবন্ত করে তুলবে।"
লুসি হকিং আরও বলেন, "আমার বাবার কথা ও ইলাস্ট্রেটর শিল্পী জিনের দুর্দান্ত সব ভিজুয়াল কম বয়সী বিজ্ঞানীদের মোহিত করবে। একইসাথে মহাবিশ্ব সম্পর্কে তাদের কৌতূহল জাগিয়ে তুলবে।"
২০১৮ সালের মার্চ মাসে স্টিফেন হকিং মৃত্যুবরণ করেন। জীবনদশায় তিনি 'আ ব্রিফ হিস্টোরি অফ টাইম' ছাড়াও আরও বহু পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন।
এছাড়াও কন্যা লুসি হকিংয়ের সাথে মিলে স্টিফেন হকিং সিরিজ আকারে ছোটদের জন্য বিভিন্ন বই প্রকাশ করেছিলেন। ২০০৭ সালে প্রকাশিত 'সিক্রেট কি টু দ্য ইউনিভার্স' তাদের প্রকাশিত প্রথম ছোটদের জন্য লেখা বই।
মৃত্যুর আগে নিজের শেষ বার্তার হকিং সকলকে একসাথে কাজ করার এবং একে অপরের প্রতি 'সহনশীলতা ও সম্মান' প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। স্পেনের ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির স্যাটেলাইট ডিশে এই বক্তব্যটি সম্প্রচার করা হয়েছিল। পেছনে ব্যবহার করা হয়েছিল গ্রীক কম্পোজার ভ্যাঞ্জেলিসের সংগীত।
বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাফিনের ডিরেক্টর রুথ নোলস বলেন, "হকিংয়ের বক্তব্যে পরিপূর্ণ ছবিসমৃদ্ধ ভিন্নধর্মী বইটি তরুণ পাঠকদের কথা চিন্তা করে সহজবোধ্যভাবে লেখা হয়েছে। বইটি ছোটদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে জানতে ও বিস্মিত করতে অনুপ্রাণিত করবে৷"
হকিংয়ের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা এবং বোর-হাইজেনবার্গের কোয়ান্টামতত্ত্বকে মিলিয়ে দেওয়া। মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্যের তাত্ত্বিক ব্যাখায় কৃষ্ণবিবরের ব্যাখা দিয়ে তিনি পদার্থবিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর মর্যাদায় জায়গা করে নেন।
১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দুরারোগ্য মটর নিউরন ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেও সারা জীবনই বিজ্ঞান নিয়ে অসামান্য সব কাজ করে গিয়েছেন এ পদার্থবিদ।