মেরিন ড্রাইভের ভাঙন ঠেকাতে জিওব্যাগের বালুর বাঁধ
পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙছে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং এলাকার মেরিন ড্রাইভ। ৫ আগস্ট শনিবার দুপুর পর্যন্ত পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকায় সড়কের ভাঙন প্রায় ২৫০ মিটার বড় হতে দেখা যায়।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের তিনটি এলাকায় দুই কিলোমিটারের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের আটটি ফাটল বড় আকার ধারণ করে। ভেঙে যাওয়া প্রায় এক হাজার মিটার সড়কে দেওয়া হচ্ছে জিওব্যাগের বালুর বাঁধ।
এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সেলিম বলেন, "নতুন করে আর কোনো ভাঙন হয়নি। দ্রুত জিওব্যাগ দিয়ে ভাঙা এলাকা মেরামত শুরু হওয়ায় কিছুটা হলেও মানুষ রক্ষা পেয়েছে। তবে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশাপাশি জনবসতি রক্ষার জন্য টেকসই বাঁধ নির্মাণ জরুরি, তা না হলে যেকোনো সময় জোয়ারের আঘাতে সড়কটি বিলীন হয়ে যেতে পারে।"
সরেজমিনে দেখা যায়, বড় বড় ঢেউ এসে জিও ব্যাগের ওপর আছড়ে পড়ছে। জোয়ার থাকার কারণে সংস্কারকাজ বন্ধ রয়েছে। জোয়ারের আঘাতে বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক ঝাউগাছ উপড়ে গেছে। এসব ঝাউগাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন উপকূলীয় বন বিভাগের লোকজন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সড়ক পরিদর্শনে আসেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার বিশ্বাস।
ইউএনও মো. কামরুজ্জামান বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। এতে মেরিন ড্রাইভের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা কাজ করছেন।
কক্সবাজার জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ আরেফীন বলেন, সড়কটি সওজের হলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ ইসিবির একটি ইউনিট এর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বড় ভাঙনের এলাকায় বালুর বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। পরবর্তী সময়ে আড়াই কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।