সেন্টমার্টিনের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত, ভেঙ্গে গেছে ১২টি বসত ঘর
সামুদ্রিক জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের কমপক্ষে ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙ্গে গেছে ১২টি বসত ঘর। গত ৩দিনের জোয়ারে এমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা।
সেন্টমার্টিনের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে কমপক্ষে ৪-৫ ফুট বেড়েছে। এতে গত ৩দিন ধরে কমপক্ষে ১৪টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। দ্বীপের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, ৮ নম্বর ওয়ার্ড, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম অংশ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম-দক্ষিণ অংশ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম অংশের গ্রামগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এতে গাছ ভেঙ্গে যাওয়া ছাড়াও কিছু ঘর ভেঙ্গে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) খোরশেদ আলম জানান, দ্বীপের উত্তর পাশ, পশ্চিমের কিছু অংশ এবং পূর্বে জেটি ঘাট পর্যন্ত এলাকায় জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আবাসিক হোটেল প্রিন্স হেভেনের অংশে ভাঙন ব্যাপক হয়েছে। ডেইল পাড়া এলাকার কমপক্ষে ১২টি বসত ঘর ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে আরো কিছু বসত ঘর।
দ্বীপের বাসিন্দা আবু তালেব জানিয়েছেন, জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বেশিক্ষণ স্থায়ী না হলেও, লোনা পানিতে নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। দ্বীপের উত্তর পাশ ঘিরে ভাঙন বেড়েছে। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির নির্মাণাধীন ভবনের কাছাকাছি ভাঙন পৌঁছে গেছে। সেখানে অনেক ঘরও ভেঙ্গে যাচ্ছে।
এব্যাপারে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, জোয়ারের পানিতে দ্বীপ প্লাবিত হয়েছে। ভাঙন তীব্র হচ্ছে। অন্তত ১০টি বসত ঘরসহ গাছপালা ভাঙনে তলিয়ে গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, জোয়ারের পানি দ্বীপে প্রবেশ করে প্লাবিত হওয়ার তথ্য রয়েছে। তবে এপর্যন্ত বিস্তারিত কোন তথ্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করেননি।